আইন-আদালত ডেস্ক: অনেকে প্রশ্ন করেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। ফলে আমরা আর্থিক ভাবে ও শারীরিক ভাবে খুব কষ্ট পাচ্ছি। এখন আমরা কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না। আমরা কি এই মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিকার পেতে পারি না? পারলে কিভাবে পারব?
যদি মিথ্যা মামলা হয় তাহলে আপনি অবশ্যই এ থেকে প্রতিকার পাবেন এবং মিথ্যা মামলাকারী অবশ্যই শাস্তি পাবে। প্রতিকারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আপনিও তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন।
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতি করার অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোন মামলা বা অভিযোগের জন্য কোন ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই বলে জানার পরেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধিনে কোন মামলা দায়ের করেন বা কারো দ্বারা করান তাহলে উক্ত ব্যক্তি আপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে মিথ্যা মামলা বা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার শাস্তি
ধারা- ১৭, উপধারা (১) অনুযায়ী সর্বোচ্চ ০৭ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং এর অতিরিক্ত হিসাবে অর্থদন্ডেও দন্ডিত হবে।
ধারা- ১৭, উপধারা (২) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপধারা -(১) এর অধিনে সংগঠিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহন করতে পারবেন।
সব খবর / ঢাকা / ২৮ মার্চ ২০১৮ / আসাদলিমন