
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার আরো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরে মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে মারা যান তরুণী শারমীন (২২)। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান তিনি।
শারমীন মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকার মো. রুবেলের মেয়ে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কামদা প্রসাদ সাহা জানান, রবিবার শারমীন টেকেরহাটস্থ নিজ বাড়িতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
তিনি এই হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ড মহিলা মেডিসিননের দুই নম্বর ইউনিটে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান তিনি।
কামদা প্রসাদ সাহা বলেন, এ পর্যন্ত এ হাসপাতালে মোট ৮৮ জন চিকিৎসার জন্য আসেন। এর মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় স্থনান্তর করা হয়। হাসপাতালে দুপুর পর্যন্ত মোট ৬৫ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হামজা (১২) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ। হামজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নশিংপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মিয়ার ছেলে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার রিয়াসাদ জানান, বিকাল ৫টার দিকে শিশুটিকে তার বাবা-মা নিয়ে আসেন। এসময় প্রচণ্ড জ্বরে শিশুটি অজ্ঞান ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় সে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল। তাকে একটি সেলাইন পুশ করার ১০ মিনিট পর মৃত্যুবরণ করে।
এদিকে ভৈরব উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা সবাই ঢাকায় থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় মোট এক হাজার ৭১২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
তাদের হিসাবে এ নিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ৫১৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার বাইরে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৬৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৫০৬ জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।