পার্থ হাসান, পাবনা : শনিবার পাবনা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট পোরিং ডেট (এফসিডি) কাজের উদ্বোধন, পাবনাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাবনা-মাঝগ্রাম রেলপথের উদ্বোধনসহ অর্ধশতাধিক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন তিনি।
এছাড়াও ওইদিন তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিশাল জনসভায় অংশ নিবেন।
রূপপুর পারমানবিক প্রকল্প, পাবনা-মাঝগ্রাম রেলপথ, পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ. মেরিন একাডেমি, বিলগাজনা প্রকল্প, ঈশ্বরদী ইপিজেড, পাকশী-কাজির হাট সড়ক সহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এই সরকারের সময়ে। যার ফলে পাবনার মানুষ শেখ হাসিনার উপর ব্যাপক খুশি। তাই প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে পাবনা জেলা সর্বত্র উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন অপেক্ষায় পাবনাবাসীর মনে এখন বইছে আনন্দের জোয়ার সর্বত্র চলছে উৎসবের আমেজ।
প্রধানমন্ত্রী কর্মসুচী সমূহ সফল করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ, বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দলীয় নেতা কর্মী, সরকারী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের যেন দম ফেলার সময় নেই। নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে সার্কিট হাউজ, সংস্কার হচ্ছে ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট, বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেষ্টুন, দেয়াল লেখন, আলোক সজ্জা, তোরণ নির্মানসহ ব্যাপক সাজ সজ্জার কাজ চলছে জেলাব্যাপী ।
প্রধামন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছে পাবনা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা দিনরাত কাজ করছে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসুচী সুন্দর করার জন্য।
পাবনা জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসুচী সুন্দর করার জন্য আমরা সকলের সমন্বয়ে কাজ করছি। পাবনায় অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে পাবনাবাসী প্রধানমন্ত্রীকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে। জেলা প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে- পাবনায় ৩১টি কাজের উদ্বোধন এবং ১৮ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে নাওয়া খাওয়া ভুলে মাঠে নেমেছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পার্টি অফিসে গেলেই বোঝা যায় কত ব্যস্ত নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা পাবনা সফর করে পাবনার নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। দলীয় কার্যালয়সহ জেলার সর্বত্র প্রতিদিন চলছে বিশেষ বর্ধিত সভা ও আনন্দ মিছিল। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছাপা ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে জেলা অধিকাংশ গুরুত্বপুর্ণ রাস্তা ঘাট। শহরের আর জেলার গুরুত্ব পূর্ন সড়কে তৈরী হয়েছে শতাধিক সুদৃশ্য তোরণ।
পাবনা পুলিশ লাইনস মাঠে তৈরী হচ্ছে বিশাল নৈকার মঞ্চ। এছারা শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কের চত্বরে গুলোতে স্থাপন করা হচ্ছে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলের মোরাল। প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ কালের বৃহৎ সংবর্ধনা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ। আর সব কিছু তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি।
আয়োজনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকালের জনসভা হবে স্মরণ কালে বৃহত জনসভা। পাবনা পুলিশ লাইন্স মাঠ জনতার মহাসমুদ্রে পরিণত হবে। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, রেল লাইনসহ অর্ধশতাধিক বড় উন্নয়ন কাজের বাস্তবায়নে পাবনাবাসী কতটা খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর পাবনাবাসী ব্যাপক খুশী। পাবনাবাসী প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগদিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।
উল্লেখ, ১৪ জুলাই সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট পোরিং ডেট (এফসিডি) কাজের উদ্বোধন করবেন। বেলা ৩টায় পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সব খবর/ ১৩ জুলাই ২০১৮/ এএএল