হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান মারা গেছেন। এর ফলে ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ মোখবেরের নাম অনুমোদন করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। তিনি দুই মাস এ দায়িত্ব পালন করবেন।
রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার (২০ মে) সকালে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান উদ্ধারকারীরা।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
নতুন প্রেসিডেন্ট যিনিই হন না কেন, তাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদন নিতে হবে। ইরানে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে ভূমিকা পালন করেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি। ক্ষমতাকাঠামোয় এরপরই রয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাকে সরকারের প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইরানের সংবিধান বলছে, কোনো দুর্ঘটনায় যদি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয় তাহলে সেই পদে বসবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই দেশটির সর্বোচ্চ নেতার অনুমতি লাগবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, ইরানিদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। দেশের কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।।