স্বামীর জন্য স্ত্রী’র জীবন উৎসর্গ অমর হয়ে থাকুক

স্বামী চলাচলে অক্ষম তাই স্ত্রী সাথে থেকে স্বামীকে হুইলচেয়ারে করে চলাচল করান। শুক্রবার স্বামীকে যথারীতি মসজিদের পুরুষদের জন্য নির্ধারিত নামাজের স্থানে প্রবেশ করিয়ে নিজে প্রবেশ করেন মসজিদে থাকা মহিলাদের নামাজের স্থানে। হঠাৎ গুলাগুলির শব্দে সবাই যখন প্রান বাঁচাতে ছুটাছুটি শুরু করলো তখন বাঙ্গালী হুসনে আরা পারভীন পালিয়ে গেলেন না। প্যারালাইজড আক্রান্ত স্বামীর খুঁজে ছুটে গেলেন বন্দুকধারীর অস্ত্রের নলের মুখে। স্বামীকে বাঁচাতে এসে নিজেই নিহত হলেন নিষ্ঠুর বন্দুকধারীর গুলিতে। অন্যদিকে স্বামীকে ততক্ষণে অন্যরা বাহিরে বের করতে সক্ষম হয়েছিলো।

নিহত হুসনে আরা পারভীনের ছবিটি ধীরে ধীরে সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে। ছবিটি গ্রাস করছে মানুষের আবেগ অনুভূতিকে। ছবিটি দেখে অনেকে নিজের আবেগ সংবরন করতে পারেনি। আবেগাপ্লুত অনেকেই মন্তব্য করছেন স্বামীর প্রতি একজন নারীর অকৃত্রিম ভালোবাসার নিদর্শন এমনি হয়। স্বামীর জন্য স্ত্রী’র এই আত্মাহুতি অমর হয়ে থাকুক এটাই কাম্য দেশরিভিউ পরিবারের।

উল্লেখ্য নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ত্রাসী হামলায় যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে তিন বাংলাদেশির একজন এই হুসনে আরা পারভীন। সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাঙ্গালহাটা গ্রামের নুর উদ্দিনের মেয়ে তিনি। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট হুসনে আরার স্বামী ফরিদের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার ১নং মীরের চর গ্রামে। ১৯৯২ সালে ফরিদ আহমদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন হুসনে আরা। এরপর ১৯৯৪ সালে স্বামীর হাত ধরে পাড়ি জমান ‘স্বপ্নে’র দেশ নিউজিল্যান্ডে। তাদের সংসারে শিপা আহমেদ (১৭) নামে এক মেয়ে রয়েছেন।