স্ত্রী হত্যার পর লাশ ফেলতে গিয়ে স্বামী আটক

চট্টলানিউজ, কুমিল্লা : কুমিল্লায় রত্না ওরফে রিয়া নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। পরে রাতের অন্ধকারে লাশ ঝোঁপে ফেলতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয় ওই গৃহবধূর স্বামী নাজমুল হাসান। এ সময় স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে নাজমুল হাসানকে পুলিশে সোপর্দ করে। শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর বিমানবন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক নাজমুল হাসান জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মদিনগর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে।

জানা যায়, নাজমুল হাসান (৩২) জেলার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় মুদি দোকানের ব্যবসা করে আসছিল। ওই দোকানে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামের রত্নার (২০) সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায় দেড় বছর আগে
বিয়ে হয়। বিয়ের পর নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় তারা একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক নাজমুল হাসান জানায়, বিয়ের পর থেকে রত্না প্রায় টাকার জন্য চাপ দিত। শনিবারও তাকে ২ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে রত্নার লাশ তোশকে পেচিয়ে অটোরিকশাতে করে বিমানবন্দর এলাকায় নিয়ে ফেলে দেওয়ার সময় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আজিজুল হক জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বিমানবন্দর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার এবং ঘাতক স্বামী নাজমুল হাসানকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। রবিবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।