সোনাগাজীর ওসি প্রত্যাহার, তদন্তে পিবিআই

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে (১৮) কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নুসরাতের পরিবারকে সহযোগিতা না করার অভিযোগে সোনাগাজীর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সহকারী মহা-পরিদর্শক (এআইজি- মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নতুন করে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘মামলার তদন্তের শুরু থেকে বাদীপক্ষ ওসির কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন। তাই মামলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে এই ওসি অন্তরায় হতে পারে এমন আশঙ্কায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান। এ সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান। সেখানে মুখোশ পরা ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

দগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।