লাশ হয়ে দেশে ফিরলেন ৫ রেমিটেন্স যোদ্ধা

৮ মাসের শিশু চাসুলি বাবার আদর, স্নেহ ও ভালোবাসা বোঝার আগেই বাবা সোহেল চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সোহেলসহ মালয়েশিয়ায় নিহত ৫ যুবকের মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এ সময় পিতা-মাতা তার সন্তান, স্ত্রী তার স্বামী, ভাই তার ভাই ও স্বজন হারানোর আহাজারিতে বিমানবন্দর এলাকায় মধ্যরাতের আকাশ ভারী হয়ে ওঠে।

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ-১৯৬ বিমানযোগে শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় বাংলাদেশি ৫ যুবকের মরদেহ। সাথে ছিলেন নিয়োগকর্তা কোম্পানির দুই প্রতিনিধি। পরে প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সের মাধ্যমে মরদেহগুলো পরিবার কাছে হস্তান্তর করেন তারা। নিহত যুবকের প্রত্যেক পরিবারকে প্রবাসী কল্যাণ ডেক্স থেকে মরদেহ পরিবহন ও দাফনের খরচ বাবদ ৩৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

গত ৭ এপ্রিল মালয়েশিয়ায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশিসহ ১১ জন প্রাণ হারান।

যাদের লাশ দেশে ফিরছে
আল আমিন (২৪)
আল আমিনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার চরভাগোল গ্রামে। তিনি মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন ২০১৮ সালের আগস্টে।

সোহেল (২৪)
সোহেলের গ্রামের বাড়িরও চাঁদপুরে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার দেবপুর গ্রামে। তিনি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন ২০১৮ সালের আগস্টে।

গোলাম মোস্তফা (২২)
গোলাম মোস্তফার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। জেলার চাটখিল থানার নলখা গ্রামে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে তিনি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন।

মহিন (৩৭)
নিহত মহিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। জেলার লাকসাম থানার দুর্লভপুর গ্রামে। তিনিও ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন।

রাজু মুন্সী (২৬)
রাজু মুন্সীর গ্রামের বাড়িও কুমিল্লা জেলায়। জেলার দাউদকান্দি থানাধীন দাখারগাঁও গ্রামে। ২০১৮ সালের জুনে তিনি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন।