মেননের দাম্ভিকতার উদ্দেশ্যে কি?

হাসান আল বান্না : মেননের দাম্ভিকতা কেনো?মূল লিখাটি অবতারনার পূর্বে ছোট্ট এক স্মৃতি দিয়ে শুরু করছি। বছর দুই আগের কথা। ভুটান থেকে ফিরছিলাম সড়ক পথে। এনজিপিতে এসে বাগডুগড়া টু কলকাতা ফ্লাইট ধরবো। সাথে সফরসঙ্গী কলকাতার খ্যাতনামা সাংবাদিক বন্ধু পি. ব্যানার্জি। আমাদের গাড়ি দার্জিলিং অববাহিকায় পাহাড়ের রাস্তা বেয়ে আসছিলো। মাঝে দার্জিলিং পাহাড়ের নৈস্বর্গিক প্রকৃতিতে কখনও কখনও গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছবি তুললাম। কখনও মেঘের রাজ্যে হারিয়ে যেতাম। কোথাও নেমে ছোট্ট কেনাকাটা। সবমিলিয়ে এনজিপি পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেলো। পরিণামে বাগডুগড়া টু কলকাতার ফ্লাইট মিস করি। এখন বাধ্য হয়ে এসি ভলবো বাসেই রওনা দেই। যদিও বাস জার্নি আমার জন্য অনেকটাই কষ্টসাধ্য। কিছুদূর যেতেই অসুস্থ বোধ করি এবং কলকাতা যাওয়ার সাহস না করে মালদার রথবাড়িতেই নেমে যাই। ততক্ষণে প্রায় ২৫০ কি মি জার্নি করি। বাসে একেবারেই সামনের আসনে সিট ছিলো। বমি বমি ভাব এড়াতে ঘুমানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলাম কারণ মাথার ঠিক উপরেই টিভিতে কলকাতা বাংলা কোন সিনেমা চলছিল।

সাধারণত কোন অর্থহীন মুভি কখনই আমি পছন্দ করিনা। তুরষ্কের অটোম্যান সাম্রাজ্য নিয়ে নির্মিত ঐতিহাসিক দিরিলিস আর্তুগুল মুভিটি আমার খুবই প্রিয়। ঠিক এরকম অর্থবোধক কোন মুভি কালেভদ্রে দেখা হয়। এছাড়া সাধারণ কোন মুভির প্রতি তেমন কোন আগ্রহ নেই। যা হোক যে কারণে বলা, বাসে এই দীর্ঘ পথে মাথার ওপর যখন সিনেমা চলছিল তখন ঘুমের ঘোরে কখনো কখনও চোখ পড়ছিলো। সিনেমার নাম কি তাও জানিনা। কোন চরিত্রে কে অভিনয় করছিলো তাও জানিনা। অভিনয়ের কোন একটি চরিত্রের অংশে দেখতে পেলাম, গ্রামে দুই মোড়ল। গ্রাম নিয়ে তাদের আধিপত্যের দ্বন্দ্ব। প্রত্যেক মোড়লের কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ আছে। একজন মোড়লের এমন এক চামচা আছে যে অতিউৎসাহী ও স্ব-প্রণোদিত হয়ে নেতার পক্ষে এমন সব কাণ্ড ঘটায় যাতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। শান্ত দু মোড়লের মাঝে সংঘাত সৃষ্টি হয়। সংঘাত যাই ঘটুক এবং যেই পরাজয় বরণ করুক না কেন তাতে তার লাভ। কারণ সে তার নিজের নেতা মোড়ল ও প্রতিপক্ষ মোড়ল দুজনেরই নির্মম পরিণতি চায়। এমন ঘাপটি মেরে থাকা চামচা খুবই বিপজ্জনক। আমাদের চারপাশে সবসময়ই এমন দু’একজন চামচা থাকে, যে চামচার কারণেই নিজের অসম্ভব এমন ক্ষতি হয়ে যায়! যে ক্ষতি সাধারণত বহু বছর ধরে বিরোধী পক্ষের লোকজনও করতে পারেনা। উদাহরণটি কেন দিলাম তা লিখার শেষাংশে ব্যাখ্যা টানবো।

এবার শিরোনামে আসি। বাংলাদেশে নির্বাচন পরবর্তী মোটামুটি শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকার তার উন্নয়নের ধারাবাহিকতার পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছে। আর বিরোধী দল সমূহ অনাকাঙ্ক্ষিত বাস্তবতাকে অনুধাবন করে নিজেদের দল গোছানোয় মনোযোগী। বিরোধী দলের কোন আন্দোলন নেই আবার সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বা হয়রানিও করছে না। ঠিক হঠাৎ করেই গত ক’দিন ধরেই অনাকাঙ্ক্ষিত এক গরম বাতাস শুরু হয়েছে। তা হচ্ছে রাশেদ খান মেনন পার্লামেন্টে ইসলাম মাদ্রাসা শিক্ষা ও খতমে নবুয়ত নিয়ে অসংলগ্ন কিছু বক্তব্য দিয়েছে।

সম্মানিত আলেম ওলামা ও দেশবাসীর দৃষ্টিতে মেনন তার বক্তব্যে দুইটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এক. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ সিদ্ধান্তে দেওয়া কওমী মাদ্রাসার সনদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
দুই. খতমে নবুয়ত অস্বীকার করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।

প্রথমে আসা যাক, সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ২০০০০ কওমী মাদ্রাসায় ২০ লক্ষাধিক ছাত্র পড়াশোনা করছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল ধারায় সন্নিবেশিত করা রাষ্টের দায়িত্ব। এছাড়া ঐতিহাসিকভাবে এই উপমহাদেশে শিক্ষা শুরুই হয়েছিল মাদ্রাসা শিক্ষা দিয়ে। ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ বিন কাশিমের সিন্ধু বিজয় থেকে ১৭৫৭ সালের পলাশী ট্রাজেডির পূর্ব পর্যন্ত ভারত উপমহাদেশে ৮৫০ বছর মুসলিম শাসনে মূল ও মৌলিক শিক্ষাই ছিলো মাদ্রাসা শিক্ষা দিয়ে। ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল প্রায় দুইশ বছর ইংরেজ শাসনামলে “Divide &‌ rule’ এর অংশ হিসেবে মাদ্রাসা শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষা আলাদা করা হয়। বৃটিশরা যখন পেশি শক্তি দিয়েও তাদের সাম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখতে নাস্তানাবুদ হচ্ছিল তখন বৃটিশ গভর্ণর লর্ড মাউন্ড ব্যাটেন বলেছিল, আমরা ভারতে এমন এক জাতি তৈরি করবো যারা হাড্ডি, রক্তে ও মাংশে হবে ভারতীয় আর চিন্তা, চেতনা, কৃষ্টি কালচার হবে ইংরেজ। তারই অংশ হিসেবে মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষা আলাদা করা হয়।
সাধারণ শিক্ষা বা ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে কখনও মুসলমানদের আপত্তি থাকার কথা না বা আপত্তি করেনি। কারণ ঐতিহাসিকভাবে মুসলমানরা দীর্ঘ বছর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে শাসন করেছে। ভারতে মোঘল ও পাশ্চাত্যে অটোম্যান সাম্রাজ্য শাসন করেছে দীর্ঘকাল। জ্ঞান বিজ্ঞান শিল্প কলা সকল ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবদান ঐতিহাসিক। পাশ্চাত্যে গ্রিক সভ্যতা মুসলমানদের দান। আর এখন অন্যদের কাছ থেকে মুসলমানরা নিচ্ছে আবার ভবিষ্যতে মুসলমানরা অন্যদের দিবে সুতরাং জ্ঞান আদান-প্রদানের বিষয়। এটা কারো একক সম্পত্তি নয়।

যা হোক হাজার বছর ধরে চালু হয়ে আসা এই মাদ্রাসা শিক্ষা ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশে আছে। এই শিক্ষার অবদানও অনেক। বিশেষ করে বৃটিশ বিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রাম করেছে এই কওমি মাদ্রাসার দেওবন্দী আকাবী আলেমরা। সিপাহী বিপ্লব, নীল বিদ্রোহ, তিতুমীর এর বাঁশের কেল্লা, সাইয়েদ আহমেদ ব্রেলভীর বালাকোটের যুদ্ধ, খেলাফত আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন সংগ্রাম নেতৃত্ব দিয়েছিল আলেমরাই। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ভারতের স্বাধীনতার অন্যতম নেতা সাইয়েদ হুসাইন আহমেদ মাদানী, আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীস, মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই কওমী মাদ্রাসার ছাত্র। কওমী মাদ্রাসার মূল কেন্দ্র ভারতের দেওবন্দ।

খোদ ভারতে এই শিক্ষা রাষ্টীয়ভাবে স্বীকৃত। সুতরাং ঐতিহাসিকভাবে প্রাচীন এই শিক্ষাকে দেশের মূলস্রোতে আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিয়ে কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং দাওরায়ে হাদীসকে মাষ্টার্সের সমমান প্রদান করেন। যা জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতি ক্রমে পাশ হয়। সম্ভবত রাশেদ খান মেননের মতো অতি বামদের গাত্রদাহ এখানেই। বর্তমান সরকার দলীয় একাধিক এমপির সাথে এই বিষয়ে আমার কথা হয়। তারাও বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও মেননের এমন বক্তব্যে বিব্রত।

এবার আসি দ্বিতীয় প্রসঙ্গ খতমে নবুয়ত নিয়ে! ইসলামের মৌলিক আকিদা হলো খতমে নবুয়ত। কোরআন ও হাদীসে একাধিক আয়াত দ্বারা রাসুল (সা.) কে সর্বশেষ নবী ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ যদি এটা অস্বীকার করে তারা কাফের এবং অমুসলিম। দুনিয়ার সকল মুহাদ্দিস আলেম এ বিষয়ে শতভাগ একমত। কিন্তু কাদায়ানী তথা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সম্প্রদায়েরা খতমে নবুয়ত মানেনা তারা ঘোষণা করে কিয়ামত পর্যন্ত আরো নবী আসবে (নাউজুবিল্লাহ)। ফলে সারা পৃথিবীর সকল মুসলিম রাষ্ট্র, মুসলিম রাষ্ট্রের সংস্থা OIC ও সকল ইসলামিক স্কলার্সগণ কাদিয়ানীদের কাফের ও অমুসলিম মনে করে। বিশ্বের প্রায় ৪৮ টি রাষ্ট্রে কাদিয়ানীদের রাষ্টীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু রাশেদ খান মেনন পার্লামেন্টে কৌশলে কাদিয়ানীদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য রেখেছে। যা বাংলার ১৬ কোটি মানুষ আহত হয়েছে।

এখন হঠাৎ করে কেন রাশেদ খান মেনন এমন ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য দেওয়ার সাহস পেল? তাও আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কওমী মাদ্রাসার সনদ সিদ্ধান্ত ও খতমে নবুয়ত নিয়ে স্পর্শ কাতর বিষয় নিয়ে?
এই লিখার শুরুতেই ছোট্ট এক উদাহরণ টেনে বলছিলাম এমন কিছু চামচা আছে যারা নেতার পক্ষে থেকে এমন কিছু কাজ করে যাতে নেতার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষের মাঝে সংঘাত তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে থাকে। রাশেদ খান মেনন হঠাৎ পরিস্থিতি উস্কে দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এবং এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বামদের অরাজকতা সৃষ্টি আজকের নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে এই বামরা। শুধু তাই নই, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে এই বাম জাসদের ইনু মেননরাই। বঙ্গবন্ধু নিহত হবার পর এই হাসানুল হক ইনু শাহাবাগে নাগিন ড্যান্সে দিয়ে উল্লাস নৃত্য করেছিলো।

আরেকটি মজার কথা যা না বললেই নয়, মেনন নিজে পার্লামেন্টে আরেকটি বিষয় অবতারণা করেছিল তা হলো মাদ্রাসায় জঙ্গি তৈরি হয়। অথচ হলি আর্টেজেন সহ বাংলাদেশে সকল জঙ্গি হামলায় সাধারণ ইংরেজি মিডিয়াম শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। আর এটাও ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, বামরাই প্রথম স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রের নামে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জঙ্গি বাদ তৈরি করেছিল। আজও বাংলাদেশে বামরা চরমপন্থী ও নকশালপন্থী মাধ্যমে জঙ্গীবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে।

আমরা সব ধরনের জঙ্গীবাদের বিরোধী। সেটা ধর্মীয় ছদ্মাবরণে বা বিপ্লবী সমাজতন্ত্রের নামে বাম জঙ্গি ধারার হোক, অথবা আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শেতাঙ্গ বিদ্বেষমূলক জঙ্গী হোক। আমরা শান্তিপ্রিয় সিভিল সোসাইটি ও গণতান্ত্রিক শক্তি কোনভাবেই কোন উগ্রতার সাথে আপোষ করব না।

আসলে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ কখনও কোনকালে বামদের গ্রহণ করেনি আর মেনেও নেইনি। ইনু মেনন বামরা বাংলাদেশে একটা সাধারণ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হুসেন আমু বলেছিলেন, বাম নেতা দিলিপ বড়ুয়ারা বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য মেম্বার হওয়ার ক্ষমতা রাখেনা। বাংলাদেশের বাম রাজনীতির মূল নেতা মনজুরুল আহসান খানের পরিবারের সাথে আমার দাদার এক পারিবারিক সম্পর্ক ছিলো। মনজুরুল আহসান খান জামালপুর-২ আসনে ভোট পেতেন ১২০০। তার দলের পরিবার ও তার পারিবারিক ভোট আছে কমপক্ষে ৫০০০। নিজস্ব ভোটও তারা পায় না। এর মূল কারণ হলো, বামদের অতিমাত্রায় ইসলাম বিরোধিতা। ফলে এ দেশের মানুষ ঘৃণাভরে বামদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

আমার শৈশব কেটেছে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কোয়াটার ও শান্তিনগরে। মঞ্জুরুল আহসান খান থাকতেন শান্তিনগরে। ছোট বেলায় মন্জুরুল আহসান খানকে দেখতাম লাঠির উপর ভর করে বিশাল দেহীর এক মানুষ শান্তিনগর থেকে পল্টনের মনিসিংহ ভবনে হেটে যেতে। আমাকে দেখে প্রায়শই আমার গাল টিপে ধরতেন। দেখতাম এতবড় নেতা যার সাথে কোন একজন কর্মীকেও কখনও দেখিনি। কারণে এরা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় জীবনে এই বামদের দুই পয়সার ভূমিকা নেই। বরং বিভিন্ন জাতীয় ক্লান্তিলগ্নে এদের ভূমিকা ছিলো খুবই নির্মম ও প্রশ্নবিদ্ধ৷ আবারও খতমে নবুয়ত ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নতুন করে কোন সংকটের দামামা বাধাতে চাইছে তা নিয়ে সরকার ও জনগণের সজাগ থাকতে হবে।

লেখক: কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক