বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক: বরিসকে ছেড়ে চলে গেছেন স্ত্রী মারিনা

পর পর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় সংসার জীবনের ইতি টানলেন ব্রিটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। দীর্ঘ ২৫ বছরের সংসার করার পর সম্প্রতি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী মারিনা হুইলার তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

জানা যায়, স্ত্রী মারিনা একজন মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনজীবী। তার বাবা চার্লস ছিলেন ব্রিটিশ চ্যানেলের সাংবাদিক। ভারতে এসে ওই চ্যানেলের হয়ে কাজ করার সময়ে মারিনার মা দীপ সিংহের সঙ্গে আলাপ। মারিনা-বরিসের চার সন্তান। বেশ কিছু দিন আলাদা থাকার পরে এই দম্পতি যৌথভাবে জানান, কয়েক মাস আগে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে এর কয়েক দিন আগেই ব্রিটিশ একটি পত্রিকায় বরিসের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে খবর ছড়িয়েছিল।

তবে মারিনা হুইলারের সাথে সম্পর্ক চলাকালিন বেশ কয়েকবার বরিসের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা সামনে এসেছে। এর মধ্যে ২০০৪ সালে লেখিকা পেট্রোনেলা ওয়্যাটের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে নিজেই স্বীকার করেন বরিস। চার বছরের ওই সম্পর্কে ওয়্যাট অন্তঃসত্ত্বা হন এবং পরে গর্ভপাত করাতে হয়। এদিকে ২০০৯-এ আবার হেলেন ম্যাকিনটায়ার নামে এক শিল্প-পরামর্শদাতার সঙ্গে নাম জড়ায়। তার সন্তানের বাবাও হন বরিস। এ সবের পরে টানাপড়েন চললেও শেষমেশ বরিসকে মেনে নেন মারিনা। এ বার সব শেষ।

ব্রিটিশ ওই পত্রিকার দাবি, বরিস ফের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাঁর মেয়ে লারাকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘‘মা আর বাবার সঙ্গে থাকবেন না।’’ বিচ্ছেদে বরিসের জনপ্রিয়তা না কমলেও তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ধাক্কা খেতে পারে, মত বিশেষজ্ঞদের।

ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে-র সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে জুলাইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছাড়েন বরিস। তার পর সরকারের সমালোচনায় নানা পত্রপত্রিকায় লিখে চলেছেন তিনি। যা দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নিজেকে ব্রিটেনের বিকল্প প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরতে চান তিনি।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা, সংক্ষেপে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে ক্রমেই চাপ বাড়ছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের ওপর। অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দফতরসহ দেশী ও বিদেশী কর্মকর্তারা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্রমেই সরব হচ্ছেন।