প্রবাসে যেমন কাটছে শাবনূরের জীবন

নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের সারা জাগানো জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শাবনূর অভিনয় থেকে দূরে আছেন অনেক দিন থেকেই। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পরিবারসহ বসবাস করছেন তিনি।

অভিনয় থেকে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নিয়ে ব্যক্তি ও পরিবারিক জীবনটাকে এখন উপভোগ করছেন তিনি। সংসারে ও সন্তানের দিকে তিনি এখন বেশি মনোযোগী।

তবে অভিনয় থেকে দূর থাকলেও তার জনপ্রিয় একটুও ভাটা পড়েনি। সেই নব্বই দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে তিনি একইভাবে আছেন দর্শকের হৃদয়ে। তাকে নিয়ে দর্শকদের আগ্রহের শেষ নেই। তাই প্রিয় এই নায়িকা কেমন আছেন, কোথায় আছেন-জানতে চান দর্শকরা।

একমাত্র ছেলে আইজান নেহানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে রয়েছেন। সেখানে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করছেন।ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে মাস তিনেক পর দেশে ফেরার কথা রয়েছে শাবনূরের।

গত ২৪ মার্চ সিডনিতে একটি ঘরোয়া পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন শাবনূর। সেখানে গিয়েছিলেন অভিনেতা শ্রাবণ খান। অস্ট্রেলিয়ায় সময় কাটানো জনপ্রিয় এই তারকার পিকনিকে তোলা কিছু ছবি পাওয়া গেছে চলচ্চিত্র অভিনেতা শ্রাবণ খানের ফেসবুকের ওয়ালে। ছবিতে বেশ হাসিখুশি দেখা যাচ্ছে শাবনূরকে। পিকনিকে তিনি অনেকের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। লাল রঙের একটি পোশাকে দেখা যাচ্ছে শাবনূরকে।

২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অনিক মাহমুদকে বিয়ে করেন শাবনূর। বিয়ের দুই বছর পরে তিনি স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান এ সেখানে বসবাস শুরু করেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর শাবনূরের ঘর আলো করে আসে ছেলে আইজান।

প্রখ্যাত পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে সালমান শাহের সঙ্গে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। একে একে এ জুটি সুপারহিট ছবি দিতে থাকেন।

সালমানের অকাল মৃত্যুতে সাময়িকভাবে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়লেও তার চিরায়ত বাঙালি প্রেমিকার ইমেজ এবং অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা তাকে দর্শকদের হৃদয়ে শক্ত আসন গড়তে সাহায্য করে। পরে রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটি গড়ে অসংখ্য ব্যবসা সফল ও জনপ্রিয় ছবি উপহার দেন।

২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাবনূর। এছাড়া তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে রেকর্ড পরিমাণ ১০ বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন।