প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ আশায় বুক বেঁধেছেন

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ যশোর যাচ্ছেন। প্রায় পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণবঙ্গে আগমনে নতুন কিছুর আশায় বুক বেঁধেছেন সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টায় যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। ইতোমধ্যে সকল প্রচার-প্রচারণা ও প্রস্তুতি বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাতেই শেষ হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় ব্যানারে ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম জনসভা। তার আগমন ঘিরে গোটা যশোর জেলা এখন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের স্মরণকালে এটিই সবচেয়ে বৃহত্তম জনসমাবেশ হতে চলছে। তবে মূলত সরকারের উন্নয়নের খবর তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াসহ আগামীর উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরবেন সরকারপ্রধান। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে জনসভার সব ধরনের প্রস্তুতিও।

যশোরের সাধারণ মানুষের দাবি, পদ্মা সেতু ও কালনায় মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে যশোরসহ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থা এবং মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নয়ন ঘটেছে। এ উন্নয়ন ও দিন বদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে এবং তার মুখে আগামীর বার্তা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

এদিকে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের বাকি চাওয়া-পাওয়া পূরণ করবেন, এমন প্রত্যাশাই এই অঞ্চলবাসীর। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে যশোর ৫০০ শয্যা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল নির্মাণ, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিককীরণ, ভবদহ জলাবদ্ধতা দূর ও যশোরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণাসহ নানা দাবিতে মুখর স্থানীয়রা।