পশ্চিমবঙ্গে জনসমক্ষে তৃণমূল বিধায়ককে গুলি করে হত্যা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস দলের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে (৩৮) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাতে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া ফুলবাড়ি এলাকায় জনসমক্ষে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। দেশটিতে লোকসভা নির্বাচনের এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নদীয়া জেলায়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফুলবাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস।

অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চ থেকে নেমে আসতেই একদল দুর্বৃত্ত তাকে পরপর বেশ কয়েকটি গুলি করে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

জানা গেছে, নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি সত্যজিৎ বিশ্বাস ২০১১ সালে বাম সরকারের পতনে তৃণমূলের উত্থানের সময় থেকেই তিনি কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক। এলাকায় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তার। প্রতিবাদী হিসেবেও পরিচিত সত্যজিৎ।

এদিন একই মঞ্চে ছিলেন রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর। ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই অনুষ্ঠান শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনাকে সরাসরি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করে তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে নদীয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

তৃণমূলের নদীয়া জেলা সভাপতি গৌরীশংকর দত্তের অভিযোগ, যারা গুলি করেছে, তারা মুকুল রায়ের মদদপুষ্ট। তদন্তে সত্য প্রকাশিত হবেই। এ ঘটনায় নদীয়া জেলার ভারপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এখন তৃণমূলের শক্তপোক্ত নেতাদের সরিয়ে দিচ্ছে। অরাজকতা তৈরি করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।

তবে এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি কোনো রকম হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে না। ওখানে মাটি মাফিয়াদের নিজেদের মধ্যে সংঘাতের বলি হয়েছেন সত্যজিৎ বিশ্বাস।