নিউজিল্যান্ডে মসজিদে জঙ্গি হামলা: শেতাঙ্গ-বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্লক করে দেবে ফেসবুক

নিউজিল্যান্ডে দুই মসজিদে বর্বরোচিত হামলার পর চাপে পড়ে ভালো করে নড়েচড়ে বসছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এ হামলার ছড়িয়ে পড়া ভয়ঙ্কর ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিতে বেশ তৎপরতা দেখিয়েছিল মাধ্যমটি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ভিডিওর ১.৫ মিলিয়ন কপি মুছেও দেয়। এরপরও থেমে নেই, ফেসবুক এবার হামলা সংশ্লিষ্ট শেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের পেছনে লেগেছে।

শুধু শেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব নয়, এ জাতীয়তাবাদের প্রশংসা, সমর্থন ও প্রতিনিধিত্ব করে এমন অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ বা পেজ এমনকি বিচ্ছিন্নতাবাদের মানসিকতাকে ব্লক করে দেবে ফেসবুক। একইসঙ্গে ইনস্টাগ্রামও শেতাঙ্গ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এমন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে আগামী সপ্তাহ থেকেই। ফেসবুক জানিয়েছে, ফেসবুকে জাতিগত সন্ত্রাসবাদ থাকবে না। এই শেতাঙ্গদের যারা প্রশংসা, সমর্থন ও প্রতিনিধিত্ব করবে, তাদের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম সামনের সপ্তাহ থেকে ব্লক মেরে দিতে শুরু করবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্টটি আরও জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর পরিচয় শনাক্ত এবং ব্লক করার সক্ষমতা আরও উন্নত করতে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফর্মে অনুসন্ধানে আপত্তিকর কিছু পেলে কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করতে পারেন। এমনকি চরমপন্থী হলে, তার নির্দেশনা দিতে পারেন। ফেসবুক দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। যাচাই-বাছাই করে ফেসবুক যদি কোনো আলামত পায়, তবে অপরাধ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে কর্তৃপক্ষ।

নিউজিল্যান্ডের দুই মসজিদে হামলার পর, বর্বরোচিত হত্যার পীড়াদায়ক ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। এছাড়া ভিডিওটি ছড়িয়েছিলেন হামলাটির মূল হোতা ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব’ বর্ণবাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নিজেই। এমনকি ভিডিওটি ধারণও করেছিলেন তিনিই। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। মাধ্যমগুলো নিয়ে উদ্বোগ প্রকাশ করেন বিশ্ব সম্প্রদায়ের অনেকেই। হয়তো এ চাপ থেকেই ফেসবুকের এমন উদ্যোগ।