নতুন মন্ত্রিসভার জন্য প্রথম ‘কল’ পাবেন যারা

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানাতে আজ বিকাল থেকে টেলিফোন করা শুরু করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে অবস্থানকারীদের আগে ফোন দেয়া হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও জোটের এমপিরা। এবার সবার দৃষ্টি নতুন মন্ত্রিসভার দিকে। এর আকার কেমন হবে, কারা বাদ পড়ছেন, নতুন কারা আসছেন- এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মুখে মুখে।

সর্বত্রই এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। দলমত নির্বিশেষে সবার চোখ পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর ওপর। পিছিয়ে নেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। নবনির্বাচিত এমপিদের মধ্যেও কৌতূহল- কে ডাক পাচ্ছেন আগামীকাল সোমবার বঙ্গভবনে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শপথ অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ছুটির দিনেও সচিবালয়, গণভবন ও বঙ্গভবনে ছোটাছুটি করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার মন্ত্রিসভার কলেবর কমছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ব্যক্তিদের নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, অবস্থান তালিকাবদ্ধ করা হচ্ছে।

তালিকায় স্থান পাওয়া মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানাতে আজ বিকাল থেকে টেলিফোন করা শুরু করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে অবস্থানকারীদের আগে ফোন দেয়া হবে। সোমবার সকালেও অনেকে টেলিফোন পাবেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভায় স্থান দিতে দক্ষ, যোগ্য, কর্মঠ ও ত্যাগী নেতাদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করেছেন। এ তালিকায় চমকে দেয়ার মতো কিছু নাম আছে। আছেন প্রবাসীও।

এমপি নন এমন বেশ কয়েক নেতাও আছেন। আছেন ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও। এ ছাড়া তৃণমূলের দুজন নেতার নাম আছে এ তালিকায়। একঝাঁক তরুণকে স্থান দিতে বর্তমান মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যকে বাদের তালিকায় রাখা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা দলে প্রভাবশালী ও কেন্দ্রে যোগাযোগ আছে তাদের সবাই মন্ত্রী হতে চায়। যাদের এমপি হওয়া নিয়েই দুশ্চিন্তায় ছিল দল, সেসব এমপিও নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হতে চান। এ লক্ষ্যে তারা দৌড়ঝাঁপ করছেন দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে।

আওয়ামী ভাবাপন্ন ব্যবসায়ী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আইনজীবীরাও আছেন এ দৌড়ে। মুখিয়ে আছেন সেই কাঙ্ক্ষিত টেলিফোন পেতে। সংসদ সদস্যদের বাইরে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রিত্ব পেতেও অনেকে অপেক্ষায় আছেন।