চলন্ত বাসে সেই নার্সকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার নার্স শাহিনুর আক্তার ওরফে তানিয়ার (২৩) ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও আঘাতজনিত কারণে ওই তরুণীর মৃত্যুর আলামত মিলেছে। এছাড়া ডিএনএ ও প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।

এর আগে, কটিয়াদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পার্থ শেখর ঘোষ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন। এতে তানিয়ার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুরের উদ্দেশ্যে বাসে উঠেন তানিয়া। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পর্যন্ত বাসটিতে ১৯ জন যাত্রী ছিল। এরই মধ্যে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে ১৬ জন যাত্রী নেমে যান। এ সময় বাসটিতে তানিয়া ছাড়াও দুজন পুরুষ যাত্রী ছিলেন। বাসটি কটিয়াদী থেকে ছাড়ার পর অন্য দুটি স্টেশনে দুজন পুরুষ যাত্রীও নেমে যান। এরপরেই ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় বাসের চালক নূরুজ্জামান (৩৯) ও হেলপার (সহকারী) লালন মিয়াসহ (৩৩) মোট পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তাদের দাবি, সব যাত্রী নেমে যাবার পর তানিয়া নিজেকে একা দেখে চলন্ত বাস থেকে দৌড়ে নেমে যাচ্ছিলেন। এ সময় হেলপার বাধা দিলে তিনি বাস থেকে লাফিয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায় তারা। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ওই বাসে করেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কটিয়াদী হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ রাতেই বাসটির স্থানীয় দুই কর্মীসহ তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের সহায়তায় বাসের চালক ও হেলপারকে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে আটক করা হয়। যদিও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেনি।