ঘিওরে বিয়ের দাবীতে যুবলীগ নেতার বাড়িতে দুই সন্তানের জননী

স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জে বিয়ের দাবীতে এবার যুবলীগ নেতার বাড়িতে উঠেছে দুই সন্তানের জননী শাহানাজ বেগম।  যুবলীগ নেতা মো. লিটন মিয়ার সঙ্গে ওই নারীর স্বামী কামাল শিকদার মাটির ব্যবসায় করার সুবাদে তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে  বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার রাত থেকে  বিয়ের দাবীতে ওই নারী যুবলীগ নেতার বাড়িতে অবস্থান করলেও যুবলীগ নেতা লিটন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। রাজনীতির পাশাপাশি সে স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি।  ঘটনাটি ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ধুলন্ডি গ্রামে।

বুধবার সকালে বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি লিটন মিয়ার বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের দাবীতে বারান্দায় একটি কাঠের ব্রেঞ্চে বসে আছেন শাহানাজ বেগম । সে বাঙ্গালা গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের কন্যা এবং ঘিওর সদর ইউনিয়নের মাইলাগী গ্রামের কামাল শিকদারের স্ত্রী। এ দৃশ্য দেখার জন্য গ্রামের উৎসুক নারী পুরুষের ভীড় পড়ে যায় যুবলীগ নেতার বাড়িতে । যুবলীগ নেতা লিটনের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান অঝোরে কাঁদছেন।

শাহানাজ বেগম জানান, বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. লিটন মিয়ার সাথে তার স্বামী কামাল শিকদার  মাটির ব্যবসা করতো।  সেই সুবাধে লিটন ঘনঘন তাদের বাড়িতে আসতো। সবার অজান্তে লিটন তাকে একটি একটি মোবাইল সেট কিনে দেয়। চলে ভালবাসার আদান প্রদান। এক পর্যায়ে সে লিটনের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি তার স্বামী (কামাল) টের পেলে তাকে বিভিন্ন সময় মারধর করতো। আর ওদিকে যুবলীগ নেতা লিটন তাকে বিয়ে করবে বলে লোভ লালসা দেখাতো এবং স্বামী কামালকে তালাক দিতে বলতো। এনিয়ে তার সংসারে অশান্তি বেধে যায়। শেষ মেশ গত ১৫ দিন আগে কাজীর মাধ্যমে শাহানাজ বেগম তার স্বামী কামালকে ডিভোর্স দেয় এবং  বাবার বাড়ি চলে যান। এই সুযোগে যুবলীগ নেতা লিটন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যায়।

শাহাজান বেগম বলেন, যুবলীগ নেতার দ্বারা আমি এখন দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা কোন কুল কিনারা না পেয়ে আমি বিয়ের দাবীতে  মঙ্গলবার রাতে লিটনের বাড়ি উঠে পড়ি। আগে জানতাম না লিটন বিবাহিত এবং তার ঘরে দুই সন্তান রয়েছে। এখন আমার যাওয়ার কোন পথ নেই।

লিটনের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্কের কথা অল্প কয়েকদিন আগে শুনেছি। বিষয়টি জানার পর আমার স্বামীকে অনেক চেষ্টা করেও ওই পথ থেকে ফেরাতে পারিনি। ওই নারীকে অনেক আকুতি মিনতি করেও বোঝাতে পারিনি। এখন সে আমার বাড়িতে উঠেছে।

ঘিওর থানার এস আই আলতাফ হোসেন বলেন,  শাহানাজ বেগমকে অপহরণ করা হয়েছে এই মর্মে মঙ্গলবার তার স্বামী কামাল শিকদার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর পর  বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জানাতে পারি শাহানাজ বেগম লিটন মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছে। বুধবার দুপুরে লিটনের বাড়ি থেকে শাহানাজকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা লিটন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ১১ জুলাই ২০১৮/ নিউজ ডেস্ক