গোলানে ইসরাইলি সার্বভৌমত্বে মার্কিন স্বীকৃতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ

অধীকৃত সিরীয় গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের সার্বভৌমত্বের মার্কিন স্বীকৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি বলছে, এতে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও নিরাপত্তা পরিষদের এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৪৯৭ প্রস্তাব অনুসারে গোলানের আইন, কাঠমো ও জনসংখ্যাগত অবস্থা পরিবর্তনের পদক্ষেপ বন্ধে দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতি বাংলাদেশ সবসময় আহ্বান জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশ মনে করে, নিরাপত্তা পরিষদকে এড়িয়ে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে গোলান মালভূমির অবস্থার পরিবর্তন করেছে, তা জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের সরাসরি লঙ্ঘন।

নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়া-এই চার পক্ষের মধ্যস্থতা মোতাবেক মধ্যপ্রাচ্য প্রশ্নের সার্বিক সমাধানের নীতিতে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, ২৫ মার্চ গোলান মালভূমি ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে ছয় দিনের যুদ্ধে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরাইল। সেই সময় ইহুদিবাদী বাহিনী ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকারও নিয়ন্ত্রণ নেয়।

পরে ১৯৮১ সালে গোলান মালভূমিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ ভূখণ্ড বলে ঘোষণা দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল কখনোই ইসরাইলের এই দাবির স্বীকৃতি দেয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গোলান মালভূমির মালিকানা সংক্রান্ত এক ভোটাভুটি হয়।

সেখানে উপস্থিত ১৫৩ দেশের মধ্যে ১৫১ দেশ এ ভূখণ্ডের মালিকানা সিরিয়ার বলে স্বীকৃতি দেয়। শুধু আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রস্তাবটির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তা সত্ত্বেও গোলানবাসীর ওপর ৫২ বছর ধরে ইহুদিবাদী দখলদারিত্ব আর অত্যাচার একটুও কমেনি বরং বেড়েই চলছে।