খাবাশপুর লাবন্য প্রভা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খাবাশপুর লাবণ্যপ্রভা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আজিজুল হকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ। সেই সাথে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক উপ সচিব হওয়ার সুবাদে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করাসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্কুলের জায়গা দখল করে পুকুর খননের অভিযোগও রয়েছে। সরকারী আমলার প্রভাবখাটিয়ে টানা ১৫ বছর ধরে তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে বহাল রয়েছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান ও ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ১৫ মার্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের এক সভার রেজুলেশনে সভাপতি মো. আজিজুল হক গত ৬ মার্চ বর্তমান প্রধান শিক্ষকের নামে চারটি অভিযোগ এনে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এর আগের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি থাকাকালীন ২০০৪ সালে তৎকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আফতাব উদ্দিনকে তিনি একতরফাভাবে চাকরিচ্যুত করেন। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক আদালতের দ্বারস্থ হলে সুপ্রিমকোর্ট বেতনভাতাদি প্রদানসহ স্বপদে বহালের আদেশ দেন। কিন্তু অদ্যাবধি মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের ওই রায় মোতাবেক বেতন ভাতা বুঝে পাননি ওই শিক্ষক। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ব্যক্তি আক্রোশে সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ আবদুর রশিদের ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিন বছরের সরকারি অংশের বেতনভাতাদিও প্রদান করেনি। পরে প্রধান শিক্ষক ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর অবসরে যান।

বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, স্কুলের জায়গা আংশিক দখল করে সভাপতি নিজের পুকুর খনন করেছেন। সরেজমিন গিয়ে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।

বিদ্যালয়ের সাবেক দাতা সদস্য আক্কাস আলী দেওয়ান ও মো. আজিম উদ্দিন বিশ্বাসের দায়ের করা রিট মামলা পরিচালনা জন্য সভাপতি ৭৫ হাজার টাকা গ্রহণ করলেও আজ পর্যন্ত তার হিসাবের ভাউচার প্রদান করেননি বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন।

তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আজিজুল হক।

সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২ মে ২০১৮/ লিটন