কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

কক্সবাজারের টেকনাফে ও পেকুয়ায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে এসব ঘটনা ঘটে।

টেকনাফে নাফ নদীর তীরে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দু’জন রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে বিজিবি। পেকুয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দু’জন জলদস্যু বলে দাবি করেছে র‌্যাব।

বিজিবি জানায়, টেকনাফে নিহতদের নাম মোহাম্মদ ফারুক মিয়া (১৯)। তিনি মিয়ানমারের জিবিংচংওয়ার মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে। অপরজন একই এলাকার মোহাম্মদ আবু তাহেরের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ (১৮)। তারা দুজনই কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

টেকনাফ বিজিবির-২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার বলেন, বুধবার ভোরে টেকনাফের খারাংখালী এলাকার সংলগ্ন নাফ নদী পেরিয়ে মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার বড় চালান আসছে, এমন খবর পেয়ে বিজিবির একটি দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে ইয়াবা পাচারকারীরা পিছু হটলে নাফনদীর কাছাকাছি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই দুই রোহিঙ্গা যুবককে উদ্ধার করা হয়। তারা দুজনই ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন।

পেকুয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দু’জনের নাম এখনও জানা যায়নি। তবে তারা তালিকাভুক্ত জলদস্যু বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিএসসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, পেকুয়ার মগনামা ঘাট এলাকায় কিছু জলদস্যু অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে, এমন খবরে অভিযানে যায় র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের অবস্থান টের পেয়ে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে তাদের লাশ পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।