কক্সবাজারের কোনো হোটেলেই নেই যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা

কোনো রকম অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই বছরের পর বছর কার্যক্রম চালিয়ে আসছে পর্যটন শহর কক্সবাজারের চারশো’র বেশি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট। অথচ এসব স্থাপনায় বছর জুড়ে থাকছেন ২০ লাখের বেশি পর্যটক। রাজধানী ঢাকায় একের পর আগুনের ঘটনা আতঙ্কিত করে তুলছে ভ্রমণে আসা পর্যটকদেরও।

ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, বারবার তাগাদা দিলেও কোন তোয়াক্কা করছে না হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে এ জন্য প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসকে দুষছেন হোটেল মালিকেরা। পর্যটন শহর কক্সবাজারে পর্যটকদের থাকার জন্য গড়ে উঠেছে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা সরকারি ছুটিতে পর্যটকের তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না এসব বহুতল হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে।

এগুলোর মাত্র দুই-একটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও বাকিগুলোতে নেই কোন অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। ফলে এখন কক্সবাজার বেড়াতে আসা পর্যটকরা হোটেলে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। হোটেল-মোটেলগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কথা স্বীকার করে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে- এ ব্যাপারে বার বার তাগাদা দিলেও হোটেল মালিকরা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর মোঃ শাহাদৎ হোসেন বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কোনো হোটেলেই পাওয়া যায়নি। তবে এ জন্য প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে দুষছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজারে অবস্থিত সী ওয়ার্ল্ড রিসোর্টের নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, দিন দিন অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। সবার পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে পরিস্থিতি ভালো করার।
জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা জন্য এখন থেকে হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার আওতায় না আনলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সেলিম শেখ বলেন, প্রাথমিকভাবে একটা সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এর মাঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় সোমবার (১ এপ্রিল) হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজ, সী-ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও উইন্ডি টেরেজ হোটেলকে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।