উত্তপ্ত রাখাইন: সেনাবাহিনীর ধরপাকড় অভিযান চলছে

উত্তর রাখাইনের রাথেডোয়াং শহরতলিতে স্থানীয় অধিবাসী ও ভিক্ষুরা বুধবার বলেছেন, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে গেছে সরকারি বাহিনী। এ ছাড়া গ্রামবাসীকে বসতবাড়ি থেকে উৎখাত করে তাতে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা গ্রামে প্রবেশ করে।-খবর ইরাবতির।

যখন অঞ্চলটিতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াইয়ে গ্রামবাসী বসতবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন, তখনই দুই শিক্ষককে আটকের এ ঘটনা ঘটল। ওন চোয়াংয়ের মঠাধ্যক্ষ বলেন, সোমবার সকালে নিকটবর্তী গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়েছে। তখন সীমান্ত প্রহরী পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে পুরো গ্রামে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল।

সেনাবাহিনীর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন স্থানীয় অধিবাসী কো মোং হটাই। তিনি বলেন, অন্তত ৪০ জন স্থানীয় বাসিন্দা পাশের গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। রাখাইনের একটি পাহাড়ের পাদদেশে সেনাবাহিনীর ওপর আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলার পর দুই শতাধিক সেনাসদস্য গুলি করতে করতে গ্রামের ভেতরে ঢুকে পড়েন।

আরাকান আর্মি নিজস্ব ওয়েবসাইটে বলছে- সোমবার সকাল থেকে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। এর আগেও মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়েছে বলে দাবি করছে তারা। এ নিয়ে জানতে ইরাবতির পক্ষ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিদ্রোহী আরাকান আর্মি জানায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বনের ভেতর অন্তত ৭০টি কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে। এসব গোলার মধ্যে কয়েকটি গিয়ে গ্রামের কাছে পাহাড়ের ওপর পড়েছে। স্থানীয় দুই নারী বলেন, গ্রামে ঢোকার সময় সেনাবাহিনী তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে কেউ হতাহত না হলেও কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আটক দুই শিক্ষককে পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সোমবার ফোনে দুই নারী জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গ্রামে শতাধিক সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ ক্যাম্প গেড়ে অবস্থান নিয়েছে। এক নারী বলেন, নিজেরা রাতে অবস্থান করতে বসতবাড়ি ছেড়ে দিতে গ্রামবাসীকে বাধ্য করছে সেনাবাহিনী।