ইরানে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিমানের ভিডিও প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের রাজধানী তেহরানে গত বুধবার সকালে ১৭৬ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আগুন ধরে বিষ্ফোরিত হয় বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করে তাদের ওই দাবির পক্ষে যুক্তি দাঁড় করেছে। ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে কোন একটা বস্তুর আঘাতে বিমানটিতে আগুন ধরে যেতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পরই প্রচণ্ড শব্দে এটি বিষ্ফোরিত হয়।
পত্রিকাটির সংবাদে বলা হয়, তেহরান বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ণের পরই এতে কিছু একটা আঘাত হানে। এতে বিমানটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়।
ওই অবস্থায় পাইলট বিমানটিকে আবার তেহরানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েক মিনিট পরই এটি বিষ্ফোরিত হয়ে সব যাত্রী ও ক্রু নিহত হন।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে তারা ওই ভিডিওটি মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সার টেকনোলজিস থেকে সংগ্রহ করেছে।
বুধবার সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরই ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
এদের মধ্যে ১৬৭ জন যাত্রী এবং ৯ জন ক্রু ছিলেন। ইরানের জরুরি সেবা বিভাগের মুখপাত্র মুজতবা খালেদি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইরানের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ মডেলের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রথমে এতে মোট ১৮০ আরোহী ছিলেন বলে বিমান সংস্থাটি দাবি করলেও পরে এর আরোহী সংখ্যা ১৭৬ বলে নিশ্চিত করে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে ইরানের বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল বিমানটি। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই এটি বিধ্বস্ত হয়ে এর সব আরোহী নিহত হন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। ইরানের এই শীর্ষ জেনারেলের গুপ্তহত্যায় ফুঁসে উঠেছে দেশটির জনগণ। গোটা মধ্যপ্রাচ্য এখন টালমাটাল। এই হত্যার বদলা নেয়ার শপথ নিয়েছে ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মুহাম্মদ নূরুল আমিন, সম্পাদকীয় কার্যালয়: চরফ্যাশন ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি (সিআইআইটি) রতন প্লাজার তৃতীয় তলা, সদর রোড, চরফ্যাশন, ভোলা।
ঢাকা অফিস: রায়পুরা হাউস (২য় তলা), ৫/এ, আউটার সার্কুলার রোড, পশ্চিম মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭ / যোগাযোগ : ০১৭১৬-২৩৭১০৮, ০১৭৬২-৪৪৭২২৮, ইমেইল : chattalanews@gmail.com