মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: সৌদি প্রবাসী স্বামী করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে থাকায় বাসায় টাকা পাঠাতে পারছেন না। বাসায় যা টাকা জমানো ছিল- তাও প্রায় শেষ। ঘরে নেই খাবার। এ অবস্থায় ২ বছর ও ৬ মাসের দুইটি শিশু বাচ্চাসহ পরিবারের ৬ সদস্যকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক গৃহিনী। লোকলজ্জায় বিষয়টি কাউকে জানাতে পারছিলেন না। খাদ্য সংকট আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় টিকতে না পেরে ৯৯৯ এ কল করে সংগ্রহ করেন টঙ্গীবাড়ী থানার ওসির মোবাইল নম্বর। পুরো বিষয়টি জানান ওসিকে। আর ফোন পেয়ে সাথে সাথে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন শিশু-খাদ্যসহ ১২ ধরনের খাদ্যদ্রব্য নিয়ে হাজির হন সে বাড়িতে।
১ মে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নে। পুলিশ কর্মকর্তার এসমন সহানুভূতিশীল আচরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন উপকারভোগী পরিবারটি। টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন হণমাধ্যমকে বলেন, ৯৯৯-এ কল দিয়ে সাধারণত বিভিন্ন সেবা মানুষ পেয়ে থাকে। তবে খাদ্য সংকটে কেউ কল দিবে- তা ভাবিনি। ভদ্র মহিলার প্রবাসী স্বামী দেশে টাকা পাঠাতে না পারায় দুটি শিশু বাচ্চাসহ ৬ সদস্যকে নিয়ে খাদ্য সংকটে পড়েছে পরিবারটি। আমি জানতে পেরে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে তাদের বাড়িতে উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের শাহ মজিজুল ইসলামের ছেলে ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন।
চট্টলানিউজ/এসআর