স্টাফ রিপোর্টার : এক বখাটের এসিড মারার হুমকিতে স্কুলে যাওয়াই প্রায় অনিশ্চিত হয়ে গেছে শারমিন আক্তার (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রীর। শারমিনের বাবার করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় প্রায় ৯ মাস জেল খাটে বখাটে পলাশ। জেল থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই সে শারমিনকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। সম্প্রতি স্কুলে যাবার পথে শারমিনকে এসিড মারার হুমকি দেয় পলাশ। পলাশের ভয়ে শারমিনের স্কুলে যাওয়া প্রায় বন্ধ।
শারমিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বিলনালী গ্রামের সাদেক আলীর মেয়ে শারমিন পাশ্ববর্তী দিয়ারচর শাকরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। ২০১৬ সালের ২১ আগষ্ট স্কুলে যাবার পথে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলশী ইউনিয়নের আনন্দ মিয়ার ছেলে পলাশ শারমিনকে অপহরণ করে। সে শারমিনদের গ্রামে মাটি বহনকারী ট্রাকের চালক হিসেবে কাজ করতো। অপহরণের আগে ওই স্কুল ছাত্রীকে বেশ কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সে শারমিনকে জোড় করে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে মাস খানেক আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে পলাশ তাকে বাড়ির পাশের রাস্তায় রেখে যায়। পরে শারমিনের বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পলাশ প্রায় ৯ মাস জেল খাটে।
শারমিন জানায়, দুই সপ্তাহ আগে স্কুলে যাবার পথে পলাশ তাকে এসিড মারার হুমকি দেয়। সেই সাথে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও ক্ষতি করবে বলে জানায়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এর আগেও পলাশ তাকে তুলে নিয়ে যাবার হুমকি দিয়েছিল।
সে আরো জানায়, এখন স্কুলে যেতেই তার ভয় লাগে। যদি আবার সে বড় ধরনের কোন ক্ষতি করে।
শারমিনের বাবা সাদেক আলী জানায়, তিনি এবং তার পরিবার নিয়ে খুব দু:শ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। এঘটনায় তিনি শিবালয় থানা পুলিশকে অবহিত করে জিডি করেছেন।
এব্যাপারে পলাশের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ২৮ মার্চ ২০১৮ / আসাদলিমন