বছরের প্রথম সাড়ে চার মাসে (জানুয়ারি থেকে ১৪ মে) ৩৪৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ সময় ১ হাজার ৪৯০ শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭০ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
১৫ মে বুধবার ‘শিশু অধিকার সুরক্ষা ও অগ্রগতি শীর্ষক’ সেমিনারে এই তথ্য জানানো হয়। জাতীয় সংসদের আইপিডি কনফারেন্স হলে ওই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম। তাতে শিশু অধিকারবিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্যরা অংশ নেন।
এর আগে সকালে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার কার্যালয়ে শিশু অধিকারবিষয়ক ককাস পুনর্গঠন করা হয়। ডেপুটি স্পিকারকে ককাসের প্রধান উপদেষ্টা, সাংসদ শামসুল হককে সভাপতি এবং আরমা দত্তকে সহসভাপতি করা হয়।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সাড়ে ৪ মাসে ৩৪৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে এর মধ্যে ৩৮ শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়। প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২২টি এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ১৮টি। ১০ শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর আত্মহত্যা করে। এ ছাড়া ৩৮ শিশু ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছে।
শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ মূল প্রবন্ধ পড়েন। তিনি জানান, ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমতার কারণেই সরকার শিশু বাজেট বরাদ্দ করেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শিশুদের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়, তা সঠিকভাবে সময়মতো শিশুদের কল্যাণে যাতে খরচ হয়, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি শিশু অধিদপ্তর গঠনের আহ্বান জানান।