আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দুইবার কিশোরগঞ্জে এসেছিলাম। এসে দেখি, কোথায় ইটনা, কোথায় মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম- চারদিকে শুধু পানি আর পানি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে গত ১৪ বছরে কিশোরগঞ্জকে বদলে দিয়েছেন। এই দেশে দুজন মানুষ সৃষ্টি হয়েছেন। একজন বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার জন্য, আরেকজন শেখ হাসিনা মানুষের মুক্তির জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আজকে অষ্টগ্রাম, মিঠামইনের রাস্তা যেন ইউরোপের রাস্তা। বাংলাদেশে এত সুন্দর রাস্তা হয় এবং কিশোরগঞ্জের মানুষ যে অবহেলিত নয় এটা প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপতির অনুরোধে এখানে রাস্তা, স্কুল-কলেজ, ব্রিজ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগে এখানে এসে ভালো কাপড় পরে আছে এমন মানুষ খুব কম দেখেছি। পিঠের ওপর গামছা, পায়ে জুতা নেই, শীতকালে থরথর করে কাঁপতো, ঘরে অন্ধকার ছিল। কিন্তু আজকে এখানে মহিলারা রঙ বেরঙের পোশাক পরে বসে আছেন। আজকে সবাই স্যান্ডেল ও সুন্দর সুন্দর কাপড় পরেছেন। পেছনে থাকা পুরুষ মানুষের গায়ে ভালো ভালো পোশাক। তার মানে, চেহারা দেখলেই বোঝা যায় পেটে ভাত আছে, মনে শান্তি আছে।’
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের, ‘শেখ হাসিনা আপনাদেরকে শান্তিতে রেখেছেন। এটা বিএনপির সহ্য হয় না। মানুষ খুশি কিন্তু অখুশি শুধু একটা দল। বিএনপির ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন ভালো নেই। মানুষের মন ভালো হলে বিএনপির মন খারাপ হয়ে যায়। তাদের জ্বালা ধরে, জ্বালারে জ্বালা হায়রে জ্বালা। হাওরে উড়াল সেতু- সেটাও শেখ হাসিনা করে দিচ্ছেন। ফখরুল ও তার দল মরে পদ্মা সেতুর জ্বালায়। তাদের অন্তর জ্বালার শেষ নেই। শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছেন আর মুক্তি কাণ্ডারি স্বয়ং তার কন্যা। আজকে বাংলাদেশের গত ৪৮ বছরের সবচেয়ে সৎ নেতার নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সাহসী ও জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা।’