ঢাকা অফিস : মুসলিম বিশ্বে করোনার ক্ষয়-ক্ষতি পর্যালোচনা এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করেছেন ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে অভিবাসী শ্রমিক সুরক্ষা এবং কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি ফান্ড গঠনসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। বুধবার অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
সেগুনবাগিচা সূত্র জানিয়েছে বৈঠকে মন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্য তথা ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে থাকা মুসলিম শ্রমিকদের দূরবস্থার কথা বিবচনায় তাদের চাকরি নিশ্চয়তা বিধানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান। বলেন, এতে বেকারত্বের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য অশান্তি এবং সামাজিক অস্থিরতা রোধ করা সম্ভব হবে। মন্ত্রী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বেচ্ছা অনুদানে কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি ফান্ড গঠনের প্রস্তাব করেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফায়সাল বিন ফারহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ওআইসি মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমদ আল-ওথাইমিন এবং নির্বাহী কমিটির অন্য ৪ সদস্য- তুরস্ক, গাম্বিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নাইজারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা তাদের প্রতিনিধ অংশ নেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা- ওআইসির নির্বাহী কমিটির ওই বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং সরঞ্জামাদি নিয়ে যে সকল গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদেরকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রিত করে অতি প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামাদির তৈরি করার কাজে লাগাতে ওআইসি সচিবালয় এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর প্রতিও আহবান জানায়।
বৈঠক থেকে মুসলিম বিশ্বের বিরোধপূর্ণ এলাকায় অস্ত্রবিরতি এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের আহ্বান জানানো হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতে মানবাধিকার কর্মীদের প্রবেশাধিকার চাওয়া হয়। বৈঠকে করোনা পরবর্তী অবস্থা মোকাবেলায় নির্বাহী কমিটি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক সংস্থাকে স্বল্পোন্নত দেশগুলো ঋণ মওকুফ করা সহ সহজ শর্তে আরও বেশি ঋণ প্রদানের অনুরোধ জানায়।
উল্লেখ্য, ওআইসির ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক গ্রুপ কোভিড-১৯ এর মোকাবেলায় সম্প্রতি রেপিড রেসপন্স ইনিশিয়েটিভের আওতায় ২.৩ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া ওআইসি আরেকটি সংস্থা ইসলামিক সলিডারিরিটি ফান্ড সদস্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে তাদের স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তার চেষ্টা করছে। ওআইসি সচিবালয় এ সংক্রান্ত ম্যাকানিজম তৈরি করবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
চট্টলানিউজ/এসএস