স্টাফ রিপোর্টার : নানা জাতের শীতকালীন সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন মানিকগঞ্জ জেলার কৃষকেরা। মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া, দৌলতপুর, ঘিওর, হরিরামপুর, শিবালয় ও সিঙ্গাইর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিস্তৃর্ণ জমি শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে। এসব জমিতে উৎপাদিত লাউ, শিম, ফুলকপি, বাধাকপি, লালশাক, মুলা শাক, পালং শাক জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা দেখছে লাভের মুখ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাতটি উপজেলায় এবার ৭ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। গত বছর আবাদের পরিমান ছিল সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর। এ বছর ১ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হবে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা বাম্পার ফলন পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, জমিতে এখন লাল শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, লাউ তুলতে কৃষক কৃষাণিরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এসব সবজি জেলার বিভিন্ন ছোট বড় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কামতার চর এলাকার কৃষক কান্দুমিয়া এবার ১৫ শতাংশ জমিতে কপি চাষ করেছেন। সার, বীজ সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা। এ মৌসুমে কপি বিক্রি করে তিনি ২৫/৩০ হাজার টাকা লাভ করার আশা করছেন।
জান্না গ্রামের আব্দুস সামাদ জানান, তিনি সারা বছরই সবজি চাষ করে থাকেন। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি এবছর তিনি ১০৫ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। অগ্রাহায়ন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত তিনি এই লাউ বিক্রি করতে পারবেন। এবছর আশানুরুপ লাউয়ের ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় দেড় লাখ টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। এ মৌসুমে তিনি প্রায় ৪/৫ লাখ টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
একই গ্রামের কৃষক সাইজুদ্দিন জানান, ৫ হাজার টাকা খরচ করে ১৫ শতাংশ জমিতে তিনি এবার বেগুন চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ৪০/৫০ হাজার টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবার জমিতে পোকার উপদ্রব কম থাকায় ফলন ভালো হচ্ছে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ লিটন