শিকলে বেঁধে ফাতেমা আক্তার (২৫) নামে গৃহবধূকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে কলমাকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতনের স্বীকার ফাতেমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ সময় শিকলে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, সতীন নার্গিস আক্তার, শ্বশুর মনসুর আলী, ননদ ফরিদা আক্তারসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ঘরে প্রথম স্ত্রী থাকার পরও একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করে দ্বিতীয় বউ হিসেবে ঘরে তোলে।
কিন্তু ফাতেমাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি জাহাঙ্গীরের প্রথম স্ত্রীসহ তার পরিবারের লোকজন। তিন চার মাস আগে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে ফাতেমার সঙ্গে জাহাঙ্গীরের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ফাতেমা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
এদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর গত তিন চারদিন আগে জাহাঙ্গীর ফের ফাতেমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ফাতেমাকে পুনরায় বাড়িতে নিয়ে আসার পরপরই তার ওপর শুরু হয় জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের লোকদের অমানবিক নির্যাতন। একপর্যায়ে ফাতেমাকে লোহার শিকলে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে শুশ্বর বাড়ির লোকজন।
শিকলবন্দি করে গৃহবধূ ফাতেমা নির্যাতন করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ পেয়ে আজ রাতে কলমাকান্দা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল করিম বলেন, ‘গৃহবধূ ফাতেমাকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তার স্বামী ও সতীনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’