মেঘনায় লালমোহনের লঞ্চে তলা ফেটে পানি, রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে ভোলার লালমোহনগামী এমভি গ্লোরী অব শ্রীনগর-২ লঞ্চের তলা ফেটে ভেতরে পানি ঢুকলেও রক্ষা পেয়েছে যাত্রীরা। বালুভর্তি কার্গো জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন এমভি গ্লোরি অব শ্রীনগর-২ লঞ্চের তিন শতাধিক যাত্রী। সংঘর্ষে লঞ্চের তলা ফেটে যায়। তবে সারেংয়ের বুদ্ধিমত্তায় লঞ্চটি দ্রুত তীরে নিতে সক্ষম হয়। প্রাণে বেঁচে যায় যাত্রীরা। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মোহনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এ ঘটনার পর আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা দিয়েছি। পরে ঢাকা থেকে আরেকটি লঞ্চ আসলে ওই লঞ্চে তাদের নিয়ে গন্তব্যে রওনা দেয়।

শ্রীনগর লঞ্চের মালিক মো. কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রায় তিনশত যাত্রী নিয়ে ভোলার লালমোহনের উদ্দেশে রওনা হয় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি গ্লোরি অব শ্রীনগর-২। রাত পৌনে ১০টার দিকে একটি বালুভর্তি বড় কার্গো পাশের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের সামনের তলা ফেটে যায়। পরে লঞ্চে পানি প্রবেশ করতে থাকলে ওই সময় পেছনে থাকা ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাটগামী শ্রীনগর-৮ লঞ্চটিকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসে। এরপর শ্রীনগর-২ লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধার করে লালমোহনের উদ্দেশে রওনা হয়। তিনি আরও বলেন, তলা ফেটে গেলে চালক দ্রুত লঞ্চটিকে একটি চরে উঠিয়ে দেন। যার কারণে যাত্রীদের কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে শ্রীনগর-২ লঞ্চটি চরে উঠিয়ে রাখা হয়েছে। মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, নৌ-পুলিশ ঘটনার পর যাত্রীদের নিরাপত্তা দিয়েছে। সবাই অন্য লঞ্চে নিজ গন্তব্যে রওয়ানা হয়ে গেছেন।