আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদ্রোহী সৈন্যরা আটক করার পর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকর কেইতা পদত্যাগ করেছেন। বন্দুকের মুখে প্রেসিডেন্ট কেইতা ও প্রধানমন্ত্রী বুবু সিসাকে রাজধানী বামাকোর কাছাকাছি একটি সামরিক শিবিরে তুলে নিয়ে যায় সেনারা। ফ্রান্স ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো মালির এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আটক করার কয়েক ঘণ্টা পর টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট কেইতা। ভাষণে সরকার ও পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন তিনি।
কেইতা বলেন, ‘আমি চাই না আমাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য কোনো রক্তপাত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি আজ আমাদের সেনাবাহিনীর একটি নির্দিষ্ট অংশ নিজেদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সমাপ্তি টানতে চায়, আমার সামনে কি সত্যিই আর কোনো বিকল্প আছে?’
এর আগে বিদ্রোহী সৈন্যরা রাজধানী বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের সামরিক ঘাঁটি কাটি ক্যাম্প দখল করে। বেতন ও জঙ্গিদের সঙ্গে অব্যাহত লড়াই নিয়ে সৈন্যদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল, পাশাপাশি সদ্য সাবেক হওয়া প্রেসিডেন্টের প্রতিও ব্যাপক অসন্তোষ ছিল।
২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কেইতা, কিন্তু দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও দেশের বেশ কয়েকটি অংশে গোষ্ঠীগত সহিংসতার উত্থানে দেশজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বেশ কয়েকবার বড় ধরনের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রক্ষণশীল মুসলমান ইমাম মাহমুদ ডিকো নেতৃত্বাধীন নতুন একটি জোট দেশে সংস্কারের দাবি তুলেছে। তাকে প্রেসিডেন্ট কেইতা যৌথ সরকার গঠন করাসহ নানা প্রস্তাব দিলেও তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।