স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার ভূক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ দিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গ্রাম্যসালিসে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে মতবরদের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগী পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে।
পুলিশ, স্থানীয় এবং ভূক্তভোগী পরিবার সূ্ত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত আটটার দিকে প্রতিবেশি সোরহাব মল্লিক (৪৫) শিশুটির বাড়িতে যান। ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে বের হলে তার মুখ চেপে ধরে জোর করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান সোরহাব। এরপর মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ির রান্না ঘরে কিশোরীকে ধর্ষণ করতে থাকেন। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামের মাতবরেরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন।
মেয়েটির বাবা অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে মাতবরেরা নিষেধ করেন। সালিসের দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত সোরহাবের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে সালিসের আগে তাঁকে সরিয়ে দেন মাতবরেরা।
স্থানীয় দিঘী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু জাফর বলেন, এই ধরণের ঘটনা গ্রাম্যসালিসে মীমাংসা অযোগ্য অপরাধ। এই ঘটনা জানার পর ভূক্তভোগী ওই পরিবারকে থানায় মামলা করতে বলা হয়।
ভূক্তভোগী কিশোরী জানায়, গত দুই মাসে সোরহাব তাকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছেন। ঘটনাটি প্রকাশ করলে সোরহাব মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ কারণে সে ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে সোরহাব তাকে ধর্ষন করে বলে মেয়েটি জানায়।
অভিযোগের বিষয়ে মাতবর গোলাম আলী বলেন, বিষয়টি গ্রামে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা ছিল। এতে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে দেওয়া যেত। তবে অভিযুক্ত সোরহাব পালিয়ে যাওয়ায় সালিসে বসা হয়নি। গ্রামসালিসে এ ধরণের অপরাধ মীমাংসার যোগ্য কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। মেয়েটির ভালোর জন্যই সালিস ডাকা হয়েছিল।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সব খবর/ মানিকগঞ্জ/ ৬ জুলাই ২০১৮/ লিটন