মাদ্রাসাছাত্ররা কোনো উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, মাদ্রাসাছাত্ররা কোনো উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। মঙ্গলবার রাজধানীর বারিধারা এলাকায় একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে মাহবুব উল আলম হানিফ এ মন্তব্য করেন। ‘এক্সট্রিমিজম অ্যান্ড ফেইক কনটেন্ট ইন সোশ্যাল মিডিয়া: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘এমওভিই ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্রতা, ভুয়া কনটেন্ট তৈরি বা সন্ত্রাসবাদে ইসলাম, মুসলমান, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কওমি মাদ্রাসা কোনোভাবেই জড়িত নয়। এসবের পেছনে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা জড়িত। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় সংগঠিত ঘটনার পেছনে উপকারভোগী কারা, সেটি বের করতে হবে। তাহলেই কারা উগ্রবাদে জড়িত, তা বেরিয়ে আসবে।

আওয়ামী লীগের নেতা হানিফ বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পরপর কক্সবাজারের রামু, উখিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্মীয় উসকানি দিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়িয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হয়েছে। এসবের পেছনে রাজনৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে হানিফ বলেন, সবার সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আরও সচেতন হওয়া উচিত। এর নেতিবাচক প্রভাব জানা দরকার। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন যোগাযোগ সহজ করেছে, তেমনি পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধও কমিয়ে দিয়েছে। এসবের ফলে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে গেছে।

মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পড়েন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান। আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রিফনটেইন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার গোলাম রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ ইবরাহিম, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা আলতাফ হোসাইন, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, হুমায়ূন কবির, অজয় দাস গুপ্ত প্রমুখ।