নায়ক অনন্ত জলিলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ জে আই গ্রুপের চুরি যাওয়া টাকার ২০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে মাটির নিচে। টাকা চুরির মামলার আসামি অনন্ত জলিলের গাড়িচালক শহীদ বিশ্বাসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই টাকা মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
সাভার ডিবির পরিদর্শক আবুল বাশার বলেন, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার জয়নগর গ্রাম থেকে মঙ্গলবার শহীদকে গ্রেফতার করা হয়। শহীদের সঙ্গে তার স্ত্রী আরজু বেগম এবং সহযোগী জুয়েল ও শাহাবুদ্দিনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। চুরি করা টাকার মধ্যে ২০ লাখ টাকা পলিথিনে মুড়িয়ে বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখেন শহীদ। তাকে গ্রেপ্তারের পর সেই টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়। আর তার স্ত্রী আরজুর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৭ লাখ টাকা।
অনন্ত জলিল নিজের ফেসবুক পেজে জানান, শহীদ বিশ্বাসের নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে মাটির নিচ থেকে ২০ লাখ টাকা এবং তার স্ত্রী আরজুর নিকট হতে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
টাকা চুরির ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল সাভার মডেল থানায় মামলা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, এজে আই গ্রুপের পরিচালকের বাসা থেকে ৫৭ লাখ টাকা নিয়ে কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও গাড়ি চালক শহীদ বিশ্বাস প্রাইভেটকারে সাভার আসছিলেন। পথে কৌশলে প্রাইভেটকার ও চাবি রেখেই ওই টাকা নিয়ে পালিয়ে যান শহীদ।
টাকা চুরি হওয়ার পর অনন্ত জলিল গাড়িচালককে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। তিনি ফেসবুকে লেখেন, আমার ভক্তদের কাছে আমি একটি সাহায্য চাচ্ছি। আমার কারখানার এক গাড়িচালক ৫৭ লাখ টাকা গ্যাস বিল না দিয়ে পালিয়েছে। যে এই প্রতারককে ধরিয়ে দিতে পারবেন, তাকে আমি নিজ হাতে পুরস্কৃত করব।