ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক লাবলু আর নেই

ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক সৈয়দ আখতারুজ্জামান সিদ্দিকী লাবলু আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। সোমবার রাত সোয়া ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এর আগে শনিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয় তাকে। লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে লাবলু দীর্ঘদিন ভারত ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৫২ বছর বয়সী লাবলু মৃত্যুকালে স্ত্রী, মা, ভাইবোন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তারা ৫ ভাই ও ৪ বোন। এক বোন ইতোপূর্বে মারা গেছেন।

লাবলুর মরদেহ আজ বেলা ১১টায় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল ভোরের কাগজ কার্যালয়ে আনা হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন ও প্রথম জানাজার পর বেলা ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সামনে দ্বিতীয় জানাজা এবং বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তৃতীয় ও সর্বশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আখতারুজ্জামান লাবলু ২০০৪ সালে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে ভোরের কাগজে যোগ দেন। এরপর প্রধান অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব নেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ পদেই ছিলেন তিনি। লাবলু ৮০’র দশকে কৃষাণ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় আসেন। এরপর দৈনিক সমাচার ও অনলাইন পোর্টাল বিএনএস (বাংলাদেশ নিউজ সার্ভিস)-এ কাজ করেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর একই পদে ২০১০, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৬ সালে মোট ৬ বার নির্বাচিত হন।

এদিকে রাতে লাবলুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ভোরের কাগজ কার্যালয়ে তার সহকর্মী ও সাংবাদিক মহলে নেমে আসে শোকের ছায়া। অশ্রুসজল নয়নে তাৎক্ষণিক অনেকেই ছুটে যান হাসপাতালে। রাতে তার মরদেহ বিএসএমএমইউর হিমঘরে রাখা হয়েছে। সাংবাদিকতার অঙ্গনে প্রিয়মুখ আখতারুজ্জামান লাবলুর মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনসহ (ক্র্যাব) সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। এসব সংগঠনের নেতারা প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও তার স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।