ভোটাধিকারের জন্য লড়ছে ‘সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ’

আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচনে (২০২৩-২৫) সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের আহ্বায়ক মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা ভোটাধিকারের জন্য লড়ছি। আজ এফবিসিসিআইতে যারা জিবি মেম্বার আছেন, তারা যদি ভোট দিতে না পারেন তাহলে সংগঠনে থেকে লাভ কি? নির্বাচন না হলে পরিচালক ভোটারদের চেনেন না, ভোটাররা পরিচালকদের চেনেন না। এমন অবস্থা থাকলে ব্যবসায়ীদের সমস্যা কখনো সমাধান হবে না।’

গত ২১ জুলাই শুক্রবার রাতে রাজধানী শাহবাগের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত প্যানেল পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই নির্বাচন ২০২৩-২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দুইটি প্যানেলে। একটি হচ্ছে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ এবং অন্যটি হচ্ছে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ।

এ বছর এফবিসিসিআই নির্বাচনের ২৩টি পরিচালক পদে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে ২৩ জন প্রার্থী পরিচালক পদে লড়তে যাচ্ছেন। সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া প্যানেলের দুইজন যুগ্ম-আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. মুনতাকিম আশরাফ এবং নিজাম উদ্দিন রাজেশ। এর বাইরে ২০ জন সদস্য হিসেবে পরিচালক পদে নির্বাচনে ভোট করবেন।

প্যানেল পরিচিতি সভায় আহ্বায়ক মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সমস্যার সমাধান করতে হলে এফবিসিসিআইতে যেতে হবে। একজন মেম্বার যদি তার পছন্দের প্রার্থীকে পরিচালক না বানাতে পারেন, তাহলে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি এবার প্রত্যেকটি মেম্বার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করতে পারবেন।’

পরিচালক পদে অন্যতম প্রার্থী এস এস রহমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রকিবুল আলম (দিপু) বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নির্বাচিত হলে এ কাজ আরও সহজ হবে। ফেডারেশনে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সাংগঠনিকভাবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্মার্ট এফবিসিসিআই প্রতিষ্ঠায় আমরা জোড়ালোভাবে কাজ করব।’

পরিচালক পদপ্রার্থী মো. আবু ছাদেক বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে এফবিসিসিআইতে নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচন না হওয়ায় তারা সিলেকশন পদ্ধতিতে যায়। সিলেকশন পদ্ধতিতে গেলে যারা সাধারণ মেম্বার আছেন, তাদের কোনো খোঁজ-খবরই রাখা হয় না। ভোট ছাড়া পরিচালক হওয়াতে এক পরিচালক অন্য পরিচালককে চেনেন না। সদস্য তো দূরে থাক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের ওপর যত কিছুই হোক, আমরা নির্বাচন করব। আমাদের নির্বাচন না করার জন্য অনেক চাপ ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের চক্ষুশূল এড়িয়ে আমরা নির্বাচন করতে যাচ্ছি। আমাদের নির্বাচনে দাঁড়ানোর একটা উদ্দেশ্য, যেটা হবে সেটা নির্বাচনের মাধ্যমে। এখানে যারা জিবি মেম্বার আছেন, তারা প্রত্যেকেই স্বয়ংসম্পূর্ণ তার সেক্টরে এবং প্রত্যেকেই যোগ্যতা রাখেন পরিচালক হওয়ার।’