কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় স্ত্রীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সোহান মিয়া (২২) নামের এক প্রবাসী তরুণ। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কথায় কথায় মারধর, তালাক দেওয়ার হুমকিসহ নানা অভিযোগে এনে গতকাল বুধবার রাতে ভৈরব থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী সোহান মিয়া ভৈরব শহরের পঞ্চবটি এলাকার রাশেদ মিয়ার ছেলে। তিনি প্রবাসে থাকেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোহানের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায়। তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ভৈরবে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। সোহান প্রবাসে থাকেন। প্রায় আট মাস আগে তিনি শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকার মিজান মিয়ার মেয়ে স্বপ্না বেগমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী এখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিয়ের পর সোহান জানতে পারেন তার স্ত্রীর সঙ্গে খালাতো ভাইয়ের প্রেম ছিল। এসব নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। বাসায় তুচ্ছ ঘটনায় স্বপ্না তার গায়ে হাত তোলেন, মারধর করেন। প্রায় সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে তালাকের হুমকি দেন। এমনকি গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলতেও তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। স্ত্রীকে বকা দিলে তিনি নারী নির্যাতন মামলার হুমকিও দেন। বিয়ের পরও স্বপ্না তার প্রেমিক খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ চালিয়ে যান।
শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে বোন হ্যাপীকে নিয়ে বুধবার রাতে সোহান ভৈরব থানায় অভিযোগ দেন।
সোহান বলেন, ‘বৌয়ের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমার স্ত্রী স্বপ্না বেগম প্রায়ই আমাকে হুমকি দেয় নারী নির্যাতন মামলা করে আমাকে জেলের ভাত খাওয়াবে। তার গর্ভে আমার তিন মাসের সন্তান রয়েছে। স্বপ্নার অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।’
এ বিষয়ে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খাঁন বাহার বলেন, ‘সোহানের অভিযোগটি পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’