বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিন দেউলা ২নং ওয়ার্ডে কোর্ট বাড়ী এলাকায় ধর্ষণের মামলা করে বিপাকে পড়েছে ধর্ষিতার পরিবার। মামলা তুলতে ওই পরিবারকে অব্যাহত হুমকি দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষিতার মা ও মামলার বাদী মাসুদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে ২০১৮ সালে ধর্ষণ করে মো: মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাইনউদ্দিন। পরে আমি বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় ধর্ষণ মামলা করি। যার মামলা নং ২৪ তারিখ ১৪ জুন ২০১৮। আমার মেয়ের মেডিকেল রির্পোটেও ধর্ষণের বিষয়টি পাওয়া গেছে। ওই মামলায় আসামি মাইনউদ্দিন কে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কিন্তু আসামি পক্ষ অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় হাইকোর্ট হতে মাইনউদ্দিন কে জামিনে ছাড়িয়ে আনেন।
মাইনউদ্দিন জামিন পাওয়ার পর হতে এ মামলা উত্তোলন করতে আমাদেরকে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করে এবং হুমকি দেয়। এরপর বিভিন্ন সময় আমাকে এবং সন্তানদেরকে মারধর করে এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। আমাকে এবং আমার ছেলেকে দীর্ঘ দিন বাড়ীতে থাকতে দিচ্ছে না এবং মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। ১৮ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টায় আমার ওই ধর্ষিতা মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে মাইনউদ্দিনের পক্ষের মোসলেম, জাহাঙ্গীর, সেলিম, নুরনবী, কাশেম সহ ৭/৮ জনের একটি গ্রুপ একজোট হয়ে বেদম মারধর করে মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। ওরা আমাকেও আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চায়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এমপি সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ধর্ষিতা জানান, আমি যখন ধর্ষণের শিকার হই তখন ১০ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছিলাম। এখন কলেজে পড়ি। একবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। সবাই আমাকে বুঝিয়েছে এটা মহামাপ। তোর অপরাধীর শাস্তি তুই নিজ চোখে দেখতে পারবি। সে অপেক্ষায় বেঁচে রইলাম। কিন্তু এখন দেখছি উল্টো আমার পরিবারটি বিচার পাওয়ার চেয়ে আসামিদের অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
আমার ভাই ও মাকে বাড়ীতে থাকতে দিচ্ছে না। মামলাটি উঠিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে এবং হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। কেউ আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। সে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি যে বিচার দেখার জন্য বেঁচে আছি তা যেনো দেখে যেতে পারি, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী’র সু-দৃষ্টি কামনা করেন ধর্ষিতা।
এব্যাপারে মো: মাইউদ্দিন কে না পেয়ে তার ভাতিজা রাকিবের সাথে আলাপ করলে সে জানান, ৩/৪ পূর্বে মারামারি হয়েছে। আমরা ওদেরকে পুলিশে দিয়েছি। আজ কিছুই হয়নি। সে জানায় তার মাইনউদ্দিন ঢাকায় থাকেন।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইন-চার্জ ম. এনামুল হক জানান, ধর্ষণের বিষয়টি আমি জানি না। তবে মারামারি ঘটনায় ১ জনকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
চট্টলানিউজ/এসআর