চট্টলানিউজ, বাকৃবি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী হারানি জানাকি রামান মারা যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িসংলগ্ন সড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা ওই ছাত্রের মৃত্যুর জন্য হেলথ কেয়ার সেন্টারের অব্যবস্থাপনা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করে বিক্ষোভ জানান।
বাকৃবির শিক্ষার্থী ও মালয়েশিয়ার নাগরিক হারানি জানাকি রামান শুক্রবার রাত ২টায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মারা যান।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় হারানি অসুস্থতা বোধ করেন। তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ কেয়ার সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় অটোতে করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টায় মৃত্যুবরণ করেন হারানি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স সঠিক সময়ে না পাওয়া ও শিক্ষাথীর মৃত্যুর পরও ভেটেরিনারি অনুষদের ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত না করায় শিক্ষার্থীরা রোববার বিক্ষোভ শুরু করেন।
তারা অবস্থান কর্মসূচি থেকে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাজিম আহমেদ, বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিয়াউল হক এবং হেলথ কেয়ার সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়েজ আহমদের পদত্যাগ দাবি করেন। এ দাবিতে শিক্ষার্থীরা সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম বেঁধে দেয়।
আন্দোলনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাজিম আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ডিন স্যার শহরে পালিয়ে আছেন। আগেও দেখা গেছে, আমাদের ডিন স্যার আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের স্টাইপেন্ডের টাকা কেটে নেয় এবং বহিষ্কারের হুমকি দেয়। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।’
অন্যদিকে বেগম রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী নওশিন বলেন, ‘আমাদের অধ্যাপক ড. জিয়াউল হক স্যারকে বিভিন্ন সমস্যায় ফোন দিয়েও পাওয়া যায় না। হারানিকে মেডিকেলে নেয়ার বিষয়েও তার গাফিলতি ছিল। অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি।’
এ সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আজহারুল ইসলাম, ক্রোপ বোটানির অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক।
তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বারবার আলোচনায় বসতে চেয়েও ব্যর্থ হন। তবে সোমবার সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বসতে চাওয়ার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা রোববার সন্ধ্যা ৭টায় কর্মসূচি শেষ করেন। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে সোমবার ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
চট্টলানিউজ/এস/এ