ঢাকা অফিস : বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকার কোনো বৈষম্য করছে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায়, গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ পেতাম না। জেনারেটর চালিয়ে বাতি জ্বালতে হত। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এমন কোনো বৈষম্য করিনি। যে কারণে বগুড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দেশের ১৮ জেলার ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন। পাশাপাশি দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ছয়টি নতুন সঞ্চালন লাইনও উদ্বোধন করেন তিনি।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে এগুলো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন। মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ২৭টি জেলার জনপ্রতিনিধিরাও ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আমাদের প্রধান চেষ্টা ছিল রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। শুধু বাতি জ্বেলে বসে থাকা নয়। বিদ্যুৎ থাকলে কর্মসংস্থানের ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রাহক বাড়িয়েছি।
বিদ্যুতের অপচয় বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ যা হয় তার চেয়ে কম দামে সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। তাই গ্রাহকদের বলবো, অপচয় করবেন না। বিলটাও কম আসবে। এটা আমার বিশেষভাবে অনুরোধ।
সব স্থানে যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছায় সেজন্য সৌরবিদ্যুতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সব ঘরে আলো জ্বালব।
২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও যাতে বিদ্যুৎ পায়, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকার ভর্তুকিসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।