ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিটই। শনিবার কার্ডিফে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে কী ভাবছে তারা? বিশ্বকাপে প্রত্যেক দলেরই মোটামুটি দুটি করে ম্যাচ হয়ে গেছে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেও, হেরেছে পরেরটায়। বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট স্বাগতিক ইংল্যান্ডেরও একই অবস্থা। এই দুই দল একে অন্যের মুখোমুখি হচ্ছে আগামীকাল, কার্ডিফে। ম্যাচটা জিতে জয়ের ধারায় ফিরতে চাচ্ছে দুই দলই। বাংলাদেশকে হারানো যে সহজ হবে না, সেটা মানছেন ইংলিশ পেসার লিয়াম প্লাঙ্কেট।
প্রথম ম্যাচে মোটামুটি ভালো বল করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে মার্ক উডের কাছে জায়গা হারাতে হয় প্লাঙ্কেটকে। দলও হেরেছে। কাঁধের চোটে ভুগতে থাকা স্পিনার আদিল রশিদকে বাংলাদেশের বিপক্ষে হয়তো খেলাবে না ইংলিশরা, আর এই সুযোগে আবারও একাদশে ঢুকতে যাচ্ছেন প্লাঙ্কেট। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই সদস্য বাংলাদেশকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না। বাংলাদেশকে যে এখন আর হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই, জানিয়েছেন সেটিও, ‘তারা যেদিন ফর্মে থাকে, সে দিন যেকোনো দলকে হারিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। আর বিশ্বকাপে এখন আর অঘটন বলে কিছু নেই।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টাকে অনেকেই ‘অঘটন’ হিসেবে দেখতে চান। কিন্তু প্লাঙ্কেটের মতে যোগ্যতম দল হিসেবেই সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছেন সাকিব-মুশফিকরা, ‘আমরা দেখেছি বাংলাদেশ কীভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে। ওই জয়কে মোটেও অঘটন বলা যায় না। বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী দল।’
ইংল্যান্ডকে বেশ কয়েকবারই হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবার সেই ২০১০ সালে, ব্রিস্টলে। প্লাঙ্কেটের স্পষ্ট মনে আছে সে ম্যাচটি, ‘আমার মনে পড়ে সেই ২০১০ সালে ইংল্যান্ডকে একবার হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই জয়টাকে অঘটন বলা যায় কিন্তু এখন আর না।’
ব্রিস্টলের সেই ম্যাচ সম্পর্কে ইংলিশদের মধ্যে অধিনায়ক এউইন মরগানের চেয়ে ভালো কেউ জানেন না। সেই ম্যাচে যে ছিলেন তিনিও। ইমরুল কায়েস আর জহুরুল ইসলামের ব্যাটে চড়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান করে বাংলাদেশ। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার আজমল শেহজাদ নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। জবাব দিতে নেমে বলতে গেলে একাই লড়েছিলেন জোনাথান ট্রট, ৯৪ রান করেছিলেন তিনি। ২৩১ রানেই থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। সে ম্যাচে বাংলাদেশের দলের পাঁচজন এবারের বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও আছেন। মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, তামিম, সাকিব, রুবেলরা কি আগামীকাল পারবেন ব্রিস্টলের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে?