ইচ্ছার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানোর সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের আগ্রহ ও অংশগ্রহণকে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার সংস্থার ঢাকা কার্যালয় থেকে প্রচারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এর আগে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মিয়ানমার সরকার ৩ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে চূড়ান্ত সম্মতি দেয়। মিয়ানমারের এ পদক্ষেপকে রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ইউএনএইচসিআর। মিয়ানমারের পদক্ষেপের পর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ সরকারকে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বতোভাবে সহায়তা দেয়। এই সাক্ষাৎকার গ্রহণের উদ্দেশ্য ছিল যেন রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে এমন রোহিঙ্গাদের কেউই শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারে ফিরতে রাজি হয়নি। ইচ্ছার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে না বলে বাংলাদেশ সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রশংসা করছে ইউএনএইচসিআর। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ইচ্ছার প্রতিই সম্মান দেখিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইউএনএইচসিআর মনে করে স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব। এ জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে ইউএনডিপি, ইউএনএইচসিআরের যৌথ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।