পেঁয়াজই মানুষকে কাঁদায়, কোন সবজি হাসায়?

রুমানা রাখি: অনেক দিন আগে আমেরিকার বিখ্যাত কমেডি অভিনেতা উইল রগারসের একটি উক্তি পড়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, পেঁয়াজই মানুষকে কাঁদাতে পারে, কিন্তু এমন কোন সবজি নেই যা মানুষকে হাসাতে পারে। তার এই উক্তি পড়ার পর থেকেই মনে হতো আসলেই তো, পেঁয়াজ যেভাবে মানুষকে কাঁদায়, এমন কোন সবজি নাই উল্টো মানুষকে হাসায়। কিন্তু পেঁয়াজ তো কোন সবজি নয়। এটি আসলে একটি মশলা জাতীয় উদ্ভিদ। যার বৈজ্ঞানিক নাম এলিয়াম সেপা। এমন এক মসলার জন্য প্রতিদিন কতো কোটি রাঁধুনী যে তাদের চোখের জল ফেলছেন, তার কোথাও কোন হিসাব নেই।

একই সাথে পেঁয়াজ নেই, এমন কোন রান্না ঘরও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ কোন রান্না শুরুর শুরুতেই জ্বলন্ত উনুনে কড়াইতে তেল দেয়ার পরপরই যে উপাদানটি ব্যবহার করা হয়, তা হলো পেঁয়াজ। তাই চোখের জল সহ্য করে রান্না সুস্বাদু করতে রাঁধুনীরা হাসতে হাসতে পেঁয়াজ কাটেন প্রতিনিয়ত, প্রায় প্রতিবেলায়। পেঁয়াজ শুধু তরকারি মজা করার উপাদানই নয়, আইটেম ভেদে বর্তমানে কাঁচা , জমানো, আচার , চূর্ণ, কুঁচি, ভাজা, এবং শুকনো করা পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। পেঁয়াজ সাধারণত সরাসরি খাওয়া হয় না, বরং পেঁয়াজ কুঁচি বা ফালি করে কাঁচা অবস্থায় সালাদে খাওয়া হয়। ঝাঁঝালো, মিষ্টি , তিতা পেঁয়াজও পাওয়া যায় বিভিন্ন দেশে। স্বাদ যেমনই হোক, কাটার সময় কম-বেশি কাঁদিয়ে ছাড়ে সব ধরনের পেঁয়াজ। তবে ধরুন এমন কোন সবজি আছে, যা কাটলেই আমরা হেসে উঠবো। তখন আমাদের রান্না ঘরের দৃশ্যটা কেমন হতো? আমরা হাসছি, আর রান্না করছি। কি মজার দৃশ্য হতো! তবে আমার মনে হয়, যদি এমন কিছু থাকতোও দামের কারণে বাঙালিদের হয়তো কখনো হাসার সুযোগ হতো না।

অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে, হাসির সবজি হলে আমরা কেন হাসতে পারবো না। ভাইরে, যখন বিক্রেতারা দেখতো কোন একটা পণ্য কিনে আমরা হাসছি, তখন আমাদের হাসি কেড়ে নিতে দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে এমন পর্যায়ে নেওয়া হতো যে কেউ কেনার সাহসই পেতো না। আর আমাদের মতো মধ্যবিত্তের মধ্যে চড়া দামের অন্য পণ্যের মতো ওই পণ্যটি দেখেও হাসি উড়ে পালিয়ে যেত।

আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনাটি এমন যে, এখানে একজন ব্যবসায়ী কোন ধরনের স্বচ্ছতা মেনে চলেন না। তিনি কোন পণ্যটি কত টাকায় কিনে, কত দামে বিক্রি করছেন- তার কোন প্রকাশ নেই, কোন জবাবদিহিতা নেই। বাজার মনিটরিং-এর অনেক পদ্ধতি আছে, সরকারি সংস্থা আছে। কিন্তু কোনটিই স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। বাজার নিয়ন্ত্রণই কে করছেন, তাও জানা নেই কারও। সাধারণ মানুষ হিসেবে, সবসময়ই মনে হবে, সরকারই বাজার নিয়ন্ত্রণ করবেন। কিন্তু সরকারের বানিজ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তোফায়েল আহমেদকে বলতে শুনেছি, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরকার সব সময় বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কে করবে?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দশ বছরের শাসনামলে সরকারি চাকরিজীবীদের বিলাসী জীবনযাপনের সিঁড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন তাদের বেতন ও নানাবিধ সুবিধা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়ে। এই সময়ে সরকারি খাত যতটা চাকচিক্য হয়েছে, বেসরকারি খাত ততটাই ম্লান হয়েছে। বেসরকারি দু’একটি পেশা ছাড়া প্রায় সব পেশাতেই দেখা দিয়েছে স্থবিরতা, বাড়ছে না বেতন-ভাতাও। বাংলাদেশীদের বর্তমান মাথাপিছু আয় ১৯০৯ ডলার। আমরা জানি এগুলো সবই গড় হিসাব। যার আয় বেড়েছে, তার আয় বাড়তিই ছিল। এখন আরো বেড়েছে। প্রতিবছর গড়ে ৫ হাজার করে মানুষ কোটিপতি হচ্ছে। পত্রিকায় যখন খবর আসে দুই মণ ধান বিক্রির টাকায় একটি ইলিশও কেনা যাচ্ছে না, তখন মাথাপিছু আয় বোঝা না গেলেও বোঝা যায় দ্রব্যমূল্য আসলে কতোটা নাগালে আছে। অথচ ইলিশ বাংলাদেশীদের জন্য প্রকৃতির দান। কেউ এর চাষাবাদ করে না, ইলিশের খাবার যোগান দিতে হয় না। শুধু নদী বা সমুদ্র থেকে ধরে বাজার পর্যন্ত এনে বিক্রি করার খরচ। তাতেই ভরা মওসুম ছাড়া কেজি সাইজ ইলিশের দাম ছাড়ায় দেড় থেকে দু’হাজার টাকা।

গত ২২ জুলাই যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, দুইটি কাচা মরিচের দাম এক টাকা। অন্যদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো পত্রিকায় সুমন আলী নামের একজন ক্রেতার ৭০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি পেঁয়াজ কিনে বাড়ি ফেরার গল্প করা হয়। একদিনের মধ্যে ওই ক্রেতা দেখেন পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। মানুষের যদি এমন সব ছোট ছোট দ্রব্য কিনতেই এতো টাকা খরচ করতে হয়, তাহলে কারও কি সত্যিই হাসা সম্ভব। মাথাপিছু আয় বাড়ছে, দেশের প্রবৃদ্ধি আকাশ ছুঁইছে, আর্থিক উন্নয়নের এমন হার সত্বেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে দেশব্যাপী মানুষের বিরক্তি ও ক্রোধ আছে। বিদেশ থেকে বিলাসী মোটরগাড়ি, শৌখিন বস্ত্রাদি, খাদ্য, পানীয়, অতিশৌখিন পণ্য যতই আসুক আর তার বিক্রি বাড়ুক, সাধারণের আলোচনায় দ্রব্যমূল্য বাড়ার বিষয়টি থেকেই যাচ্ছে।

যদিও রমজান মাসে এলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়। চাহিদার উর্ধ্বগতির সাথে যোগানের লড়াইয়ে থাকতে হয় সাধারণ মানুষদের। রমজানে দ্রব্যমূল্য অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় স্থিতিশীল রাখতে কড়া নজরদারি করা হবে বলে যত হুঁশিয়ারি আর আশ্বাস দিয়ে ক্রেতাদের বিশ্বাস সৃষ্টির চেষ্টাই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত তার কিছুই মানানো যায় না ব্যবসায়ীদের। রোজা শুরুর এক মাস আগে থেকেই বাণিজ্য মন্ত্রী, সচিব আর ব্যবসায়ীরা রুটিন করে বলতে থাকেন যে, পর্যাপ্ত মজুদ আছে, কোন পণ্যের দাম বাড়বে না। কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যখন দ্বিগুণ হতে থাকে, তখনও রেকর্ড করা সুরের মতোই একই কথা বলতে শোনা যায় তাদের মুখ থেকে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। রোজার আগে সব সময়ই মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয় সিটি কর্পোরেশন, কিন্তু নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রি হচ্ছে অহরহই।

আমাদের বাজার ব্যবস্থাপনাটি এমন যে, এখানে কোন ব্যবসায়ীকে কোন ধরনের স্বচ্ছতা মেনে চলতে হয় না। তিনি কোন পণ্যটি কত টাকায় কিনে কত দামে বিক্রি করছেন তার কোন প্রকাশ নেই, কোন জবাবদিহিতা নেই। বাজার মনিটরিং-এর কত যে পদ্ধতি আছে, সরকারি সংস্থা আছে। কিন্তু কোনটিই এই স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের পণ্য ব্যবসার পুরো জগতটিই মজুতদার, মুনাফাখোর, ফটকাবাজ, চোরাচালানিদের দখলে। আবার এদের সাথেই রাজনীতির যোগাযোগ। ফলে সামগ্রিকভাবে বিষয়টি সুশাসনের সাথে জড়িত। অসাধু ব্যবসায়ীদের দাপটের কারণে, সুশাসনের সংকটের কারণে একটি আধুনিক মূল্য সংযোজন আইন করেও আজ সাত বছর ধরে সরকার সংগ্রাম করছে সেটি বাস্তবায়নের জন্য। দাপুটে ব্যবসায়ীদের পেশিশক্তির কাছে সরকার বারবার পরাজিত হয়েছে ২০১২ সালের ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে। স্বাভাবিক সময়ে চাল, চিনি, মাছ, মাংস, ভোজ্য তেল আর সবজি এবং রমজানে ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচের মতো ভোগ্যপণ্যের কারণে যাদের ক্রয়ক্ষমতা সীমিত, তারা হিমশিম খায়। কিন্তু এদেশে এমন একটি অস্বাভাবিক অর্থ উপার্জনকারী চক্র আছে যারা অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি স্বত্ত্বেও এসব তোয়াক্কা না করে দাম যতই হোক না কেন, সেসব কিনে। প্রয়োজনে বেশি কিনে নষ্ট করে তারা।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রতিবছর রমজানে নিয়ম করে বাড়তে থাকে ভোজ্যতেল ও চিনির দর। বাংলাদেশে এ দু’টি পণ্যের উৎপাদক মোটামুটি কয়েকজন ব্যবসায়ী। তারা একইসঙ্গে তেল ও চিনি উৎপাদন করেন। তখনকার বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ব্যবসায়ীদের ডেকে দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তারা দোষ দিয়ে বললেন, এগুলো ডিও ব্যবসায়ীদের কাজ। তারা বললেন, ডিও প্রথা বাতিল করে পরিবেশক প্রথা চালু করলে কোন পণ্যের দাম বাড়বে না। তাদের কথা মতো, আইন পরিবর্তন করা হলো, ডিও প্রথা বাতিল হলো। সারাদেশের হাজারো মানুষের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে পরিবেশক নিয়োগ দিলো কোম্পানিগুলো। কিন্তু রমজানের বাজারে ভোজ্যতেল ও চিনির দরে স্থিতিশীলতা ফেরেনি। পরিবেশকরা আগাম টাকা দিয়ে ট্রাক নিয়ে গিয়ে মিলগেইটে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও তেল-চিনি পান না। বাজারে দাম বেড়ে যায়, কারও কিছুই করার থাকে না। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করলো অত্যাবশকীয় পণ্য বিপণন আইন সংশোধন করবে, সেখানে তেল-চিনি ঢুকানো হবে। তখন সরকার চাইলে এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিতে পারবে। এখন করছেও তাই। আইন অনুযায়ী, এসব পণ্যে সব খরচ বাদে উৎপাদন পর্যায়ে মিল মালিকদের ২ শতাংশ হারে মুনাফা করার কথা। কিন্তু দাম নির্ধারণের সময় মিল মালিকরা ১ লিটার তেলের জন্য যে খালি প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে, তার দাম ধরে ১৫ টাকা, সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের দিয়ে তেল-চিনির বিজ্ঞাপন করিয়ে প্রচার করা হয় টিভিতে, তাদের সম্মানীও হিসাব করা হয় দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে।

এরপর ঠিক করা হলো, নাহ! এভাবে আর চলে না। গঠন করা হলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারা প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকা খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ পেলে জরিমানা করে। এবার ক্রেতা ঠকানোর জন্য ব্যবসায়ীরা বেছে নিলো অন্যপথ। ইদানিং ঢাকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের জন্য আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে হাফ লিটার পানি ছাড়ছে কোম্পানিগুলো। সারাদেশে হাফ লিটারের দাম ১৫ টাকা হলেও কোথাও কোথাও একই কোম্পানির হাফ লিটারের বোতলে লেখা খুচরা মূল্য ২৫ টাকা। রেস্টুরেন্টগুলোতে এখন আর আধা লিটারের কোকাকোলা, পেপনি, সেভেন আপ বিক্রি হয় না। তারা আধা লিটার পানীয় তিনটি গ্লাসে ঢেলে প্রতি গ্লাসে দাম নেয় ৫০-৬০ টাকায়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এখানে কিছু করতে পারে না। কারণ, খোলা পানীয়র গায়ে দাম লেখা নেই। যেমনটি হয়েছে পেঁয়াজের ক্ষেত্রে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তার অর্থ হলো, ভারত থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। ব্যবসায়ীদের কাছে যতো পেঁয়াজ ছিল, তা আগেরই, কমদামের। কিন্তু তারা দাম বাড়িয়ে দিলো। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদরদপ্তরের পাশেই কাওরানবাজারের ব্যবসায়ীরাও সারাদেশের ব্যবসায়ীদের মতো পেঁয়াজের ভোক্তাদের পকেট কেটে কাঁদিয়ে ফেললো, কিচ্ছু করতে পারলো না অধিদপ্তরটি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাজারদর নিয়ে কাজ করার সময় দেখেছি, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট আছে, সেটা হোক বড় ব্যবসায়ী কিংবা ক্ষুদ্র কোন কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতি। হাতিরপুল কাঁচাবাজার থেকে কাওরানবাজারের দূরত্ব এক কিলোমিটারের মতো। হাতিরপুলের খুচরা ব্যবসায়ীরা রাতের বিভিন্ন সময়ে কাওরানবাজার থেকে সবজি কিনেন। ধরা যাক, হাতিরপুল কাঁচাবাজারে ১৫ জন সবজি বিক্রেতা আছেন। তারা রাতের বিভিন্ন সময় কাওরানবাজার থেকে ফুলকপি কিনলেন। কেউ কিনলেন ১০ টাকা পিস, কেউ ১২ টাকা, কেউ ১৫ টাকা, আবার কেউ সর্বোচ্চ ২০ টাকা দরে কিনলেন। সকালে হাতিরপুলে বিক্রি শুরুর আগে নিজেরা আলাপ করে শুনেন যে, সর্বোচ্চ যে কতো দামে কিনেছে। যখন তারা জানলো, তাদের একজন ২০ টাকা দামে কিনেছে, তখন তারা ঠিক করে যে, আমরা কেউই ৩০ টাকার নিচে কোন ফুলকপি বেঁচবো না। সবচেয়ে বেশি দামে যে কিনেছে, তার জন্যও মুনাফা রেখে দাম নির্ধারণ করে তারা। এ ধরনের সিন্ডিকেট আছে বড় ব্যবসায়ীদেরও। অথচ বিভিন্ন দেশে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্ডিকেটের বদলে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা হয়, যা বাংলাদেশে নেই।

বাংলাদেশের বাজারেও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা কমিশন আইন পাস হয়েছে, চেয়ারম্যান, সদস্য নিয়োগ দেওয়ার কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই কমিশন ব্যবসায়ীদের মধ্যে কতোটা প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে পারবে, তার ওপরই নির্ভর করবে ভোক্তাদের ভবিষ্যত। কারণ, অন্য সব উদ্যোগই তো ভেস্তে গেছে। সূত্র: জাগো নিউজ।