মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনায় রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল শ্রমিকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছে। অনশনরত পাটকল শ্রমিকদের মধ্যে ২০ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত পাটকল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে না নেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বর্তমান অবৈধ সরকার নিজেদেরকে জনদরদী সরকার বলে দাবি করলেও তারা যে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও তামাশা করে তা আবারও প্রমাণিত হলো এখনও পর্যন্ত পাটকল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে না নেয়ার মধ্য দিয়ে। শ্রমিকরা একটা দেশের মূল চালিকা শক্তি, তাদের ঘামঝরানো পরিশ্রমেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়। শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পারিশ্রমিক পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আমাদের ধর্মে। ২০০৯ সালের নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন-ক্ষমতায় আসলে জনগণকে দশ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোসহ ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়া হবে। অথচ বাড়ী বাড়ী চাকরি দেয়া দুরের কথা, যারা চাকুরীরত আছেন তারাও বর্তমান সরকারের আমলে পাইকারীহারে চাকরিচ্যুত হচ্ছেন।
পাটকল শ্রমিকরা তাদের বকেয়া পাওনা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে, যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখলেও সরকার সম্পূর্ণরুপে নির্বিকার। অনশনরত শ্রমিকরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন, কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ইতোপূর্বে অনশনরত অবস্থায় খুলনায় প্লাটিনাম জুবিলি জুটমিলের শ্রমিক আব্দুস সাত্তার মৃত্যুবরণ করেছেন, তার মতো পরিণতি যাতে আর কোন শ্রমিকের না হয় সেজন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি। সরকার বিরোধী দল ও মতের মানুষদের নিশ্চিহ্ন করে দীর্ঘকাল ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার চিন্তায় বিভোর থাকার কারণেই জনগণের ভালমন্দ দেখার সুযোগ বর্তমান সরকারের নেই। পাটকল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে। তাদের দাবি মেনে নিতে আমি জোর আহবান জানাচ্ছি।”