করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গোটা বিশ্বে ১০৮টি গবেষক দল সম্ভাব্য ভ্যাকসিন বা টিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কয়েক মাস ধরে। তবে বিশ্ববাসীর প্রত্যাশিত ওই ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত কেউ তৈরি করতে পারেননি। তবে দুই-একটি প্রতিষ্ঠান সফল বলে দাবি করেছে। খবর বিজনেস টুডের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, বিশ্বজুড়ে পরীক্ষামূলক এই ১০৮টি ভ্যাকসিনের মধ্যে আটটিকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অর্থাৎ মানবদেহে প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের সম্ভ্যাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করে দি আমেরিকান ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট-এনআইএস।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গবেষক দল ছিল ১০৪টি। সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে– জাপানের ইউনিভার্সিটি অব টোকিও, তুলানে বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা এবং দি ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ।
ভ্যাকসিন তৈরিতে একধাপ এগিয়ে ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন পাওয়া আটটি ভ্যাকসিনের মধ্যে পাঁচটিই চীনের।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে একটি করে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। অপরটি যৌথভাবে তৈরির কাজ করছে জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকে ও যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক কোম্পানি পিজফার।
গত ১৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর আরও সাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা বায়োটেক কোম্পানি তাদের তৈরি কোভিড ১৯-এর সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করে। পরীক্ষা শেষে কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তা বাজারে আসবে।