চট্টলানিউজ, নোয়াখালী : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে মো. সোহাগ (৩১) নামের এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আমানতপুর গ্রামের ফরাজী বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. সোহাগ ওই বাড়ীর সেলিম উল্যার ছেলে। জানা গেছে সোহাগ যুবলীগ কর্মী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমানতপুর গ্রামে নিজদের বাড়ির পাশে তার চাচার দুটি মাছের প্রজেক্ট দেখাশুনা করতেন সোহাগ। তাদের ওই প্রজেক্ট’এর পাশে জিরতলী ইউনিয়নের মজুমদারহাট এলাকার মাছ কালামের একটি মাছের প্রজেক্ট ছিল। বুধবার রাত ১০টার দিকে মাছ কালামের প্রজেক্ট থেকে সোহাগ মাছ ধরেছে অভিযোগ তুলে সোহাগের সাথে কালাম ও তার লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাছ কালামের প্রজেক্টের কর্মচারী রুবেল’সহ কয়েকজন সোহাগের বাড়ীর সামনে এসে তার উপর অর্তকিত হামলা চালায়।
এ সময় তারা সোহাগকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন সোহাগকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাছ কালামের কর্মচারী রুবেলের নেতৃত্বে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে।