সুন্দরবন ও কুমিল্লায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৬ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা: কুমিল্লায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রুবেল (৩৪) ও সেলিম (৩৮) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জেলার চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার নাটাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
নিহত রুবেল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগণ্ডা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে এবং সেলিম (৩৬) একই উপজেলার শালুকিয়া (আদর্শগ্রাম) গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে। বিজিবি জানায়, নিহত রুবেল ও সেলিম বিজিবি ও পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। পৌর এলাকার নাটাপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী রুবেল ও সেলিমসহ তাদের সহযোগীরা অবস্থান করছে এমন গোপন খবর পেয়ে বিজিবি সেখানে অভিযান চালায়। মাদক ব্যবসায়ীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে রুবেল ও সেলিম নামে ২ মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আহত মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ১৫৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা হয়েছে।
এদিকে একই রাতে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বৌয়ারা বাজার সংলগ্ন মান্দারী কবরস্থান এলাকায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বকুল মিয়া ও আবদুল করিম নামে আরও দুই মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিব্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ওই ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে ৩ হাজার ৭৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
বাগেরহাট: সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু হাসান বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের জংড়া খালে বন্দুকযুদ্ধে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
র্যাব হেডকোয়ার্টার্সের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং থেকে মোবাইলে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে র্যাব টহল শুরু করলে বনদস্যু হাসান বাহিনী র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।
র্যাবও পাল্টাগুলি ছুড়ে। গোলাগুলির পর দস্যুরা পিছু হটে। পরে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে হাসান বাহিনীর চার দস্যুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় দস্যুদের ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে পরে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে র্যাব সূত্র জানায়।