মশা মারার কার্যকর ওষুধ আমদানির প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘মশার কার্যকর ওষুধ আমদানির প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। দুই-চার দিনের মধ্যে মশা নিধনের কার্যকর ওষুধ আমরা পাব, ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।’
ওবায়দুল কাদের বুধবার মিরপুর মাজার রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত চলমান পরিচ্ছন্নতা অভিযান কার্যক্রমের শুরুতে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন। খবর বাসসের
ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করতে ‘পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী যতদিন আমরা বাংলাদেশকে এই ডেঙ্গু জ্বর আর এডিস মশাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারব, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, নগরবাসীকে অনুরোধ করবো যার যার ঘর, ঘরের আঙিনা, যার যার কর্মস্থল, আশপাশের এলাকা, স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাস এবং বিপণি বিতান পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সবাইকে মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মশা থেকে বাঁচতে মশারি টাঙানোর বিকল্প নেই। আপনি যখন ঘুমোতে যাবেন, রাতের বেলায় হোক আর দিনের বেলায় হোক মশারি ব্যবহার করবেন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ সফল হবে- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ এই প্রাণঘাতি ডেঙ্গু থেকে মুক্তি চায়। মানুষ আজ এডিস মশার উপদ্রপ থেকে বাঁচতে চায়। মানুষের থেকে মশা শক্তিশালী নয়। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সমন্বিত উদ্যোগে এই প্রাণঘাতি মশক নিধনে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হবো।
ডেঙ্গু মোকাবেলায় মশা নিধনে লোক দেখানো কর্মসূচি পালন না করতে সিটি কর্পোরেশনগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি অনুরোধ করবো, দায়সারা গোছের ওষুধ ছিটানোর প্রয়োজন নেই। যেই ওষুধে সত্যিকার অর্থে মশক নিধন হবে, মানুষ চায় সেই ওষুধটা। আমরা লোক দেখানো কর্মসূচি দিয়ে জনগণকে ভাওতা দিতে চাই না, প্রতারণা করতে চাই না।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।