যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। শুক্রবার তিনি দলের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তবে দলের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবেন মে। আগামী মাসের মাঝামাঝি নাগাদ যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে পারেন।
এদিকে তেরেসা মে যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ পার্টির থেকে প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই কনজারভেটিভ পার্টিতে নতুন নেতা নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। নতুন নেতাই হবেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন তিনি।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে নিজের নতুন পরিকল্পনা তার মন্ত্রিসভায় এবং পার্লামেন্টে অনুমোদিত হবে না, এটা স্পষ্ট হবার পর গত ২৪ মে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। লন্ডনে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে এক আবেগঘন বক্তৃতায় পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় মের চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে।
ব্রেক্সিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তেরেসা মে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ব্রেক্সিট কার্যকরে বিভিন্ন উদ্যোগ নেন তিনি। তবে এ বিষয়ে তার কোনো প্রস্তাবেই অনুমোদন দেয়নি পার্লামেন্ট।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় ব্রেক্সিট সম্পর্কে তেরেসা মে বলেন, ‘আমি ২০১৬ সালের গণভোটকে সম্মান জানাতে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’ ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে সফল না হওয়াকে নিজের জন্য ভীষণ অনুতাপের বলেও সে সময় জানান তেরেসা মে।